বিশেষ সংবাদদাতা :
মাদকের স্বর্গরাজ্য টেকনাফকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘যে কোনও উপায়ে টেকনাফকে মাদক, দুর্নীতি ও মানব পাচার থেকে মুক্ত করা হবে। এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রশাসন চিহ্নিত করেছেন। সরকার মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসর্মপণের সুযোগ দিয়েছেন। দোষ শিকার করে আত্মর্সমপণ করেন। এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যান। না হলে কারও পরিণতিই ভালো হবে না।’
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় টেকনাফ বাস স্টেশনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মাদক, দুর্নীতি, অর্থ ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নুরুল আলম বলেন, ‘টেকনাফকে এসব থেকে মুক্ত করতে পাড়া মহল্লা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে সভা সমাবেশ এবং প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। এর পরও যদি কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকে অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।’
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মুন্নার পরিচালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিক মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়া মীগ নেতা এইচ এম ইউনুছ বঙালি।
আরও বক্তব্য রাখেন— উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক নুরুল বশর, জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি নুরুল হুদা, উপজেলার নব-নির্বাচিত ভাইচ-চেয়ারম্যান মৌলনা ফেরদৌস আহমদ, পৌর মেয়র মো. ইসলাম, কমিউনিটি পুলিশিং সম্পাদক আবুল কালাম, যুবলীগ সম্পাদক ও সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, উত্তর লম্বরী মাদ্রাসার মুহাতিম মৌলনা আব্দুল হক, হৃীলা রঙ্গিখালী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলনা কামাল হোসেন, হৃীলা শাহা মজিদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলনা ফরিদুল আলম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, ‘যে কোনও উপায়ে টেকনাফকে মাদকমুক্ত করতে হবে। মাদকমুক্ত করে টেকনাফের মানুষকে মাথা উচু করে চলতে হবে। এ এলাকায় কোনও মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। হয় মাদক ছাড়েন, নয় টেকনাফ ছাড়েন। মাদক ব্যবসায়ীদের ভালো হয়ে যেতে হবে। না হলে কেউ বাঁচার সুযোগ পাবেন না। জনগনের প্রতিরোধে টেকনাফকে মাদক মুক্ত করতে একযোগে কাজ করা হবে। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। আলেম সমাজকে মসজিদের খুতবায় মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে হবে।’
পাঠকের মতামত: