ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ড. মিজান না বুঝে, না শুনে মন্তব্য করেন : আইজিপি

IGP-SHAHIDUL-HAQUE_1শীর্ষ নিউজ :

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলেই হুট করে কথা বলে দেন। উনি তথ্য না নিয়ে, না বুঝে, না শুনেই মন্তব্য করেন।

রোববার চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।

দেশব্যাপী শুরু হওয়া জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের আশঙ্কা প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় আইজিপি জাতীয় মানবাধিবার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের সমালোচনা করেন।

আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় দেখেন তিনি (মিজানুর রহমান) পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্যের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গতকাল তিন হাজার ১১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কতজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, কতজন মামলার আসামি, কতজন মাদক ব্যবসায়ী এবং কতজন জঙ্গি ক্যাটাগরি করে জানানো হয়ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া একটা লোককেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

আইজিপি বলেন, ‘পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া আছে, কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। বারবার নির্দেশ দিয়েছি, মিটিং করে বলেছি এবং মোবাইলে এসএমএস করে বলেছি। কোনো নিরপরাধ (ইনোসেন্ট) লোক, যিনি মামলার আসামি নন, কোনো মামলার সন্দেহভাজন (সাসপেক্ট) নন, তাঁকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে, দয়া করে ইউনিয়ন প্রধানকে বলবেন কিংবা আমার দরজা খোলা, আমাকে বলবেন। যদি কেউ হয়রানি করে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমরা চাই না কোনো নিরপরাধ (ইনোসেন্ট) লোক হয়রানির শিকার হোক। যদি কোনো স্থানীয় থানায় কোনো কর্মকর্তার ভুলের কারণে এ ধরনের গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন- এর দায়িত্ব তাঁর। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

সুধী সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও বক্তব্য দেন।

রোববার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশে অব্যাহত হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু ৪১ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের নামে তিন হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে আমরা আসলে ক্ষমতার অপব্যবহারই করছি। চট্টগ্রামে পুলিশ সুপারের স্ত্রী খুন হওয়ার পরে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের একটা সহানুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ পুলিশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এই গ্রেপ্তার সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও ঘটনা ঘটছে। এভাবে গণগ্রেপ্তার হওয়ার ফলে গ্রেপ্তার-বাণিজ্যেরও আশঙ্কা রয়েছে। এটা হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হবে।’

পাঠকের মতামত: