নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহেশখালীর ঠিকাদার গিয়াস উদ্দীন আজমকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার ঠিকাদার সমিতি (এলজিইডি) নেতৃবৃন্দ। না হলে জেলার সকল প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধের করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঠিকাদাররা। সোমবার বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, গত ১৮ এপ্রিল ‘মিথ্যা, বানেয়াট ও সাজানো’ মামলা দিয়ে মহেশখালী ঠিকাদার গিয়াস উদ্দীন আজমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত প্রকল্পের বিল ছাড়ে ১০ শতাংশ ঘুষ না দেয়ায় অসম্মতি জানানোয় তর্কাতর্কিকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ দিয়ে আজমকে গ্রেফতার করানো হয়েছে।
গিয়াস উদ্দীন আজমের মুক্তি দাবি করে কক্সবাজার ঠিকাদার সমিতির (এলজিইডি) আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ সিআইপি জানান, গিয়াস উদ্দীন আজমের বিষয়ে ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করলে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বিষয়টিকে অন্যকে ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি ঠিকাদারদের বলেছেন- ‘ঝগড়া-বিবাদ না করে লেনদেন করলে অসুবিধা কী?’
অন্যদিকে আসাদ উল্লাহ সিআইপি বলেন, কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা মোহাম্মদ ইফতেখার আলী ঠিকাদারদারদের সাথে অসদাচরণ ও নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। এই কারণে বর্তমানে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো চারবার টেন্ডার আহ্বান করলেও কোনো ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নেয়নি। এতে এলজিইডির প্রায় তিন’শ কোটি টাকা ফেরত যাচ্ছে।’
ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, জেলার উপজেলা কার্যালয়ে কয়েকজন সহকারী প্রকৌশলী একই স্থানে ১৫/২০ বছর ধরে স্থিতিত রয়েছেন। অথচ একজন সরকারি কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি একই স্থানে থাকতে পারে না। নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগসাজস করে তারা এভাবে ১৫/২০ বছর বহাল তবিয়তে রয়েছে। এমনকি এসব সহকারী প্রকৌশলীরাও ঠিকাদারী করেন। তাই নির্বাহী প্রকৌশলী ও অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলীদের প্রত্যাহার দাবি করেছেন ঠিকাদাররা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঠিকাদার সমিতির সদস্য একরামুল হক, গিয়াস উদ্দীন, মো. ইউনুছ খাঁন, মো. শওকত, শরীফ উদ্দীন বাবুল, নূরুচ্ছফা রুবেল, রুহুল আমীন, ইব্রাহিম, আনোয়ার কামাল।
পাঠকের মতামত: