কক্সবাজার প্রতিনিধি :: চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় দেশীয় উৎপাদিত লবণ দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে মাঠ ও মিল মিলে প্রায় ৬ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ মজুদ আছে। দেশীয় লবণ শিল্পকে বিদেশ নির্ভর করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে ৭ জন অসাধু মিল মালিক।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছেন কক্সবাজার লবণ চাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট এইচ.এম শহিদ উল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভার্চুয়াল সভায় বিসিকের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেশে লবণ ঘাটতি দেখিয়ে বিদেশী লবণ আমদানির চক্রান্ত করা হচ্ছে।
কক্সবাজার ও বাঁশখালীর কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ২৭০ একর জমিতে অন্তত ৫৫ হাজার লবণ চাষী লবণ চাষের সাথে যুক্ত। এছাড়াও লবণের উপর বিভিন্ন ব্যবসা করে কক্সবাজারের আরও ৬০শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে দেশীয় লবণ শিল্প ধ্বংস হয়ে গেলে বেকার হয়ে যাবে হাজার হাজার মানুষ, যাদের আর কোন পেশা নেই ।
বিসিকের তথ্য অনুসারে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ মেট্রিক টন মাঠে এবং প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক টন লবন মিলে লবণ মজুদ আছে। মোট লবণ মজুদ আছে প্রায় ৬ লক্ষ মেট্রিক টন। এরপরও সংকট দেখাচ্ছে আমদানিকারক সিন্ডিকেট।
নভেম্বরের শুরুর দিকে নতুন মৌসুমের লবণ উৎপাদন শুরু হবে। লবণ উৎপাদন শুরু হলে দেশে লবণের ঘাটতি হওয়ার কোন আশংকা নেই। বর্তমানে মিল পর্যায়ে দুই মণ লবণ ১০০০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা চাষীদের জন্য ন্যায্যমূল্যের চেয়েও কম। তারপরও অসাধু সিন্ডিকেটটি দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংস করতে বিদেশী লবণ আমদানির চক্রান্ত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার লবণ চাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, মিজানুর রহমান চৌধুরী (খোকন মিয়া), সিরাজুল মোস্তফা, আলী হোছাইন, জামিল ইব্রাহিম, আজিজুল হক, মুহাম্মদ শোয়াইবুল ইসলাম সবুজসহ লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: