কক্সবাজার প্রতিনিধি ::::
অনুকুল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, কৃষি অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের সঠিক নির্দেশনার কারনে বন্যার আক্রমনের পরও আমনের বাম্পার ফলনের পর বোরো চাষ নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত দিন পার করছে। গেল আমন মওসুমে পর্যাপ্ত উৎপাদনের কারনে অনেকে উৎপাদন খরচ ও ধানের দাম পাওয়ায় চলতি বোরো মওসুমে বাড়তি
উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাঁচিয়ে লাভের কারনে পুনরায় কৃষির প্রতি মনোনিবেশ বৃদ্ধি করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তাগণ।।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় , জেলার ৮ উপজেলায় এবার ৫৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২ লাখ ৩৭ মেট্রিক টন চাল। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আমন ধান চলতি মাসে কাটা শেষ হবে বলে জানা গেছে। এ বছর আমন মওসুমে তিন জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আবাদকৃত তিন জাতের ধান হল উফশী, স্থানীয় এবং হাইব্রীড।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নিবিড় বার্ষিক সফল উৎপাদন কর্মসূচীর আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বোরো ধানের উপজেলা ভিত্তিক জমি আবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জেলায় চলতি বোরো মওসুমে ৫৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে আবাদের বিপরীতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। উপজেলা ভিত্তিক আবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে চকরিয়ায় ১৮ হাজার ৭৯০ হেক্টরে ৫৬ হাজার ৩শ ৬০ মেঃ টন, পেকুয়ায় ৬ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টরে ১৯ হাজার ৯শ ৫০ মেঃ টন, রামুতে ৭ হাজার ৫০ হেক্টরে ২১ হাজার ১শ ৫০ মেঃ টন, সদরে ৭ হাজার ১শ ৩০ হেক্টরে ২১ হাজার ৯শ ৯০ মেঃ টন, উখিয়ায় ৬ হাজার ৩২০হেক্টরে ১৮ হাজার ৯শ ৬০মেঃ টন, টেকনাফে ১ হাজার ২শ ৪০ হেক্টরে ৩ হাজার ৭শ ২০ মেঃ টন, মহেশখালীতে ৭ হাজার ১ শ হেক্টরে ২১ হাজার ৩শ মেঃ টন এবং কুতুবদিয়ায় ২ হাজার ৫শ ৮০ হেক্টরে ৭ হাজার ৭শ ৪০ মেঃ টন।
জেলায় ৩ জাতের ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৮১৬ হেক্টরে হাইব্রীড জাতের ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯,৪৪৮ মেট্রিক টন, উফশী জাতের ৪৬ হাজার ৪শ ৩৫ হেক্টরে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩শ ৫ মেঃ টন এবং স্থানীয় জাতের ৮০৯ হেক্টরে ২ হাজার ৪শ ৪৭ মেঃ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
পাঠকের মতামত: