কক্সবাজার প্রতিনিধি :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে মাত্র ৮ দিন। যদিও বিএনপি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসেনি তবুও ইতোমধ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ৪ টি আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকে বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বেশ হাকডাক ছাড়লেও নির্বাচনী মাঠে দেখা মিলছে না জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থীকে।
কক্সবাজারের ৩টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাদের কোন সভা সমাবেশ,মিছিল মিটিং বা পথ সভা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমনকি পোস্টার লিফলেটও দেখা মিলছে না। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে মাঠ জরিপ যাই হোক নির্বাচনী ফলাফল জাতীয় পার্টির পক্ষে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্ধ।
৭ জানুয়ারী অনুষ্টিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪ টি সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টি থেকে ৩ টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার সদর রামু ঈদগাও আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. মোহাম্মদ তারেক, উখিয়া টেকনাফ আসন থেকে টেকনাফ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুল আমিন ভুট্টু, চকরিয়া পেকুয়া আসন থেকে পার্টির নির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি মৌলভী হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্ত্রী হোসনে আরা লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। শুধুমাত্র মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে লাঙ্গল প্রতীকের কোন প্রার্থী নেই।
এদিকে নির্বাচনী মাঠ জরিপে কক্সবাজার-১ চকরিয়া পেকুয়া আসনের ভোটার,আলী আজগর, আবছার উদ্দিন, মাসুদ রানা সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে নির্বাচনের কয়েকদিন বাকি থাকলেও এ পর্যন্ত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হোসনে আরার কোন নির্বাচনী কার্যক্রম চোখে পড়েনি। উনার নিজ গ্রামে পর্যন্ত কোন পোস্টার লিফলেট নেই।
এছাড়া এ পর্যন্ত কোন পথসভা আমরা চোখে দেখিনি। তারা জানান মুলত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ভিন্ন উদ্দ্যেশ্য করে নির্বাচনী মাঠে এসেছিল সেটা সফল না হওয়াতে কোন টাকা খরচ করতে চাইছে না।
তাই নামে থাকলেও বাস্তবে মাঠে দেখা মিলছে না। কক্সবাজার-৩ সদর আসনের বাহারছড়া বাসিন্দা আবুল কালাম, ঈদগাও বাস স্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ি সাইফুল ইসলাম, রামু চৌমুহনীর ব্যবসায়ি আরিফুল ইসলাম সহ অনেকে জানান,একবার সম্ভবত জাতীয় পার্টির প্রার্থী এড. মোহাম্মদ তারেককে দেখেছিলাম খোলা একটি খোলা জিপে। এরপরে আর দেখা মিলেনি বা লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কোন প্রচারও আমরা শুনিনি, কোন পোস্টার লিফলেটও দেখছিনা। তারা বলেন, এক প্রকার ভালই করছে অযথা কেন টাকা খরচ করবে। আর জাতীয় পার্টি নিজেরাই কয়েক ভাগ।
এদিকে উখিয়া টেকনাফ আসনের ভোটার মরিচ্যা বাজারের ব্যবসায়ি নাছির উদ্দিন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ছাত্র আদিলুর রহমান সহ অনেকে বলেন, এখানে জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী আছে সেটা ৯০% ভোটার জানেই না। এখন যদি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর নাম জিঙ্গেস করেন তাহলে কেউ বলতে পারবে না। কারণ তাদের কোন প্রচার নেই, মাইকিং নেই, পথসভা নেই। অবশ্য মাঝে মধ্যে বের হয়ে ফেইসবুকে দিয়েছে সেটা নিয়ে মানুষ উল্টো হাসাহাসি করে। সেটা তাদের জন্য আরো লজ্জার সে জন্য কেউ মাঠে ও নামছে না।
এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার -৩ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এড,মোহাম্মদ তারেক বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচন মুখি দল, তাই এবারও নির্বাচন করছে, কেন্দ্রীয় ভাবে কয়েকটি আসনে সমঝোতা হলেও দেশের সব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আছে।
কক্সবাজারে ৩ আসনে আমাদের প্রার্থীরা সব সময় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি ভোটাররা আমাদের ঠিকই মুল্যায়ন করবে। আর আমরা মাঠে নেই সেটা ঠিক না, আমরা সব সময় মাঠেই আছি।
এ ব্যপারে সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আমি অসুস্থ বেশি কথা বলতে পারছিনা। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আছে শেষ পর্যন্ত থাকবে। যদি কেন্দ্র থেকে কোন ঘোষণা আসে তখন অন্য কথা এটুকু বলতে পারি।
পাঠকের মতামত: