ইমাম খাইর, কক্সবাজার :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের মধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে ঝুলে আছে আরও চার প্রার্থীর আবেদন।
বাতিল প্রার্থীরা হলো- ট্যাক্স ফাঁকি ও সম্পদের বিবরণী জমা না দেয়ায় কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ, প্রার্থীর পক্ষে নেয়া স্বাক্ষরে জালিয়াতির অভিযোগে মহেশখালী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক, অসম্পূর্ণ আবেদনের কারণে কক্সবাজার-৩(সদর- রামু) আসনে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-৩ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
বিভিন্ন অভিযোগে যাদের মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়নি তারা হচ্ছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ডক্টর আনসারুল করিম, জামায়াতের এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের লুৎফর রহমান কাজল এবং কক্সবাজার-৪ ( উখিয়া-টেকনাফ) আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী মাস্টার এমএ মনজুর। তাদেরকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল দশটায় কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউজ-এর সম্মেলন কক্ষে বাছাই প্রক্রিয়া চলে।
এসময় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল অাফসার, জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমদসহ সকল সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে চাইলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। এ পর্বের পর ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন।
গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরদিন থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়। ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল। সব ঠিকঠাক থাকলে ভোটগ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
পাঠকের মতামত: