চকরিয়া নিউজ প্রতিবেদক ::
কক্সবাজার জেলার অগ্রগণ্য রাজনীতিক, ৬০ দশকে কক্সবাজারের ছাত্র আন্দোলনের কিংবদন্তীতুল্য ছাত্র সংগঠক, কক্সবাজারে ছাত্র ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, কক্সবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক ভিপি, সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ঐক্য ন্যাপ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি কমরেড ইদ্রিস আহমদ আর নেই। তিনি ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ৩ কন্যা, ১ পুত্রসন্তান,স্ত্রী, নাতি-নাতনী, আতœীয়স্বজন, গুনগ্রাহী, শুভাকাংখি ও সহকর্মী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজারে আনা হয় শহরের হাসপাতাল সড়কের নিজ বাসভবনে। বিকাল সাড়ে ৩টায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা কক্সবাজার জেলা ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি সোলায়মান কাসেমী। জানাযা পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ইদ্রিস আহমদের বড় জামাতা কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, একমাত্র সন্তান জেলা যুবলীগের সহ অর্থ সম্পাদক মোঃ আশরাফ উদ্দিন ও সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত।
জানাযার পূর্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। পুলিশের একটি চৌকষদল সশস্ত্র সালামের মাধ্যমে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাজিম উদ্দিন মরহুমের মরদেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করে দেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোঃ খালেদ মাহমুদ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এরপর পুস্পস্তবক অর্পন করে কমিউনিস্ট পার্টি, ঐক্য ন্যাপ, সামাজিক আন্দোলন, কক্সবাজার সোসাইটি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ অন্যান্য সংগঠন।
কক্সবাজারের নামাজে জানাযায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাবেক পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, শিক্ষাবিদ প্রফেসর জাফর আহমদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জি,এম, রহিমুল্লাহ, জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি একে আহমদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ খালেদ মাহমুদসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।
মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাযা তাঁর জন্মস্থান চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী পূর্বপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে মাগরিব নামাজের পর অনুষ্টিত হয়। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা হাজী বশিরুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন ও রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ইদ্রিস আহমদ ছিলেন পর্যটন খাতের একজন বিশিষ্ট উদ্যোক্তা। তিনি লাবণী সড়কে অবস্থিত হোটেল কল্লোলের স্বত্ত্বাধিকারী।
বিশিষ্ট ও প্রবীণ রাজনীতিক ইদ্রিস আহমদে মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
পাঠকের মতামত: