ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, জাসদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারক বাহকেরা শতভাগ ভণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ছাত্রলীগের একটা অংশ হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নিয়ে আসে। এর ধারক বাহকেরা দেশটাকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়। পরে জাসদ নামে নতুন দল গঠন করে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) দুই দিনব্যাপী ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে সরকারের মন্ত্রী করা হয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী জাসদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে ছাত্রলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা জাসদ গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। তারা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে জাসদ এমন অভিযোগ করে জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেন, তারা যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তাহলে আজ বাংলাদেশ ভিন্ন বাংলাদেশ হতে পারতো।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্তে আস্তে দলকে সংগঠিত করেছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে দেশ আগেই অর্থনৈতিক অগ্রসরতা অর্জন করত। শুধু হঠকারীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূর্বের ইতিহাস জেনে এই হঠকারীদের এড়িয়ে চলবেন। বিপ্লব বিপ্লব করলে বিপ্লব হয় না। কাজ করতে হবে। আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে। আপনার মেধা জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে। তখন সোনার বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে।
জাসদের বর্তমান দৈন্যদশা উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, তারা অতি বিপ্লবী ছিল। তারা অনেক প্রতিক্রিয়াশীল ছিল। কিন্তু এক সময় হারিয়ে গেল। এখন আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করে।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান ও এস এম জাকির হোসাইন ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, ইসহাক আলী খান, সুজিত রায় নন্দি, লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: