ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জনবসতি এলাকায় ধানি জমিতে তামাকের আগ্রাসন

 ররররনুরুল আমিন হেলালী, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ফিরে ::

জেলার চকরিয়া ও রামু উপজেলায় ধানি জমিতে তামাক চাষের আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। অতি লোভীতার কারণে তামাক চাষীদের উপদ্রবে দিনদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব চাষীদের টার্গেট করে ফসলি জমিতে তামাক চাষে উদ্ভুদ্ধ করছে তামাক সিন্ডিকেট। এলাকার কয়েকজনের সাথে আলাপে জানা যায়, সাধারন চাষীরা অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে কয়েক বছর ধরে ধান ও সবজি চাষ ত্যাগ করে অতি মুনাফার লোভে বাড়ির উঠুনে পর্যন্ত তামাক চাষ করে আসছে। ফলে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে এলাকাবাসী। এছাড়া জমির মালিকরাও দ্বিগুণ লাগিয়তের লোভে ধান ও সবজি চাষীদের চাইতে তামাক চাষীদের কাছে জমি বর্গা দিচ্ছে। দেশব্যাপী সরকার ও পরিবেশ বাদীদের পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের আন্দোলন তীব্রতর হলেও কক্সবাজার সদর, রামু, পেকুয়া, চকরিয়া, লামা-আলীকদম, বিশেষ করে রামু উপজেলার ঈদগড়, গর্জনিয়া, কাওয়ারখোপ, কচ্চপিয়া, বাইশারী, নাইক্ষংছড়ির পাহাড়ি ও সমতলের ফসলি জমিতে তামাকের আগ্রাসন বেড়েই চলছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদদে তামাক চাষীরা এসব জনবসতি পূর্ন এলাকায় বসবাসরত মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তোয়াক্ক না করে বেপরোয়াভাবে ফসলি জমিতে এসে তামাক চাষ শুরু করে দিয়েছে। বর্ণিত এলাকায় প্রতিনিয়ত নতুনভাবে ধান ও সবজি চাষের ডিপোতে তামাক চাষ বিস্তৃৃত হওয়ায় এসব এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি খাদ্যশস্যের অভাব দেখা দিয়েছে। গতকাল গর্জনিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি, কাওয়ারখোপ ও কচ্চপিয়ার কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশি-বিদেশী তামাক কোম্পানীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের জিম্মায় প্রান্তিক তামাক চাষীদের অগ্রিম দাদন দিয়ে তাদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার লাগোয়া জমিতে তামাক চাষ করায় তামাকের ভয়ানক বিষবাষ্প থেকে রেহাই পাচ্ছেনা কোমলমতি শিশুরাও। প্রত্যন্ত এলাকার চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে তামাকের চাষ হচ্ছে। কচ্চপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল কান্তি শর্মা জানান, এসব নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ির উঠুন, খেলার মাঠ, ফসলি জমি, পাহাড়ি ভুমি, নদীর চর কিছুই বাদ যাচ্ছেনা তামাক চাষের আগ্রাসন থেকে। কয়েকদিন আগে চকরিয়ায় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযানে কয়েকশত হেক্টর তামাক চাষ গুড়িয়ে দিলেও সরকারি নিষেধাঙ্গা অমান্য করে জেলার কয়েকটি উপজেলায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক চাষ।
ত বেড়েই চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক চাষ।

পাঠকের মতামত: