ঢাকা,শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তারপরও বহাল তবিয়তে

চিরিঙ্গা ভুমি অফিসের ক্ষমতাধর অফিস সহায়ক ১৬মাস আগে বদলী হলেও!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক পদে ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন ইকবাল হোসেন। তাকে ২০২০ সালের ২৩জুন তারিখে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর মো.মোস্তাফা জাবেদ কায়সার স্বাক্ষরিত আদেশমুলে উখিয়া উপজেলা ভুমি অফিস থেকে বদলী করা হয় পেকুয়া উপজেলা ভুমি অফিসে। কিন্তু সেই তিনি বদলীর ওই আদেশ লঙ্ঘন করে অনেকটা প্রভাব খাটিয়ে দিব্যি দায়িত্ব পালন করছেন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে কী আসলে মধুর হাঁিড় আছে। না হলে বদলী হওয়া নতুন কর্মস্থল পেকুয়া ভুমি অফিসে না গিয়ে গেল ১৬মাস ধরে অফিস সহায়ক ইকবাল হোসেন কীভাবে চিরিঙ্গা ভুমি অফিসে বহাল তবিয়তে রয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এই ইকবালের খুঁিটর জোর কোথায় তা নিয়েও। অবশ্য এসব প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে সেই অফিস সহায়ক ইকবাল বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা সদরের চিরিঙ্গা ভূমি অফিসকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অফিসে সেবা নিতে আগত লোকজনকে তাঁর কাছে আর্থিকসহ মানসিকভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

চিরিঙ্গা ভুমি অফিসে কাজ করতেন খলিলুর রহমান নামের একজন বহিরাগত কর্মচারী। সম্প্রতি ভুমি অফিসগুলোতে দালাল ধরতে র‌্যাবের অভিযান শুরু হলে সেসময় একদিন অফিসে কাজ বেশি পড়ার সুযোগে অফিস সহায়ক ইকবাল সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া বেশ কিছু টাকা ওই কর্মচারীকে জমা রাখতে দেন। অফিস সময় শেষে রাতে ওই টাকা তাকে ফেরত দেন। কিন্তু জমা দেয়ার সময় বেশি টাকা দিয়েছিলো, আর ফেরত দেয়ার সময় টাকা কম দিয়েছে অজুহাতে পরবর্তী সময়ে ওই কর্মচারীকে অফিস থেকে বাহির করে দিয়েছেন ইকবাল। অভিযোগ উঠেছে, এভাবে তিনি প্রতিদিন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে সেবাপ্রার্থী লোকজনকে নানাভাবে আটকিয়ে বিপুল টাকা কামাই করছেন।

সেবাপ্রার্থী লোকজন দাবি করেছেন, অফিস সহায়ক ইকবাল সরকারী বিধি লংঘন করে সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করছেন। জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তাঁর নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ অফিসে টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজ সম্ভব করেন ইকবাল। তাঁর এসব অপর্কমের ব্যাপারে অবগত থাকলেও ভুমি তহসিলদার সেলিম উল্লাহ কোনধরণের কর্ণপাত করেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পাঠকের মতামত: