নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাক ও পিকআপ দ্বারা অপরিকল্পিত ভাবে লবণ পরিবহণের কারণে গাড়ী থেকে নিঃসৃত লবণ পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে দিনদিন আশংকাজনক হারে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। যেন মৃত্যুর মিছিল চলছে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে। প্রতি বছরের এ লবণ মৌসুমে আকস্মাৎ সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়ে বহু লোক জন নিহত ও শত শত ব্যক্তি আহত হয়ে থাকে। লবণ পরিবহণে প্রশাসনিক নির্দেশনা না মানায় ট্রাক থেকে সড়কে গলে পড়া লবণ পানিতে রাতের বেলায় কুঁয়াশা পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতি বছর অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশী দুর্ঘটনা ঘটে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। এই উপজেলার পাহাড়ী এলাকার উচু নীচু ও আঁকাবাকা প্রায় ৩৯ কিলোমিটার মহাসড়কের অংশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় শত শত মানুষ। বিশেষ করে দেশের বৃহত্তর লবণ উৎপাদন এলাকা মহেশখালী ও টেকনাফ থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক পিকআপ বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে চকরিয়ার মহা সড়কে মিলিত হওয়ায় চকরিয়ার ওই অংশ দুর্ঘটনা প্রবন হয়ে ওঠে।
চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশে কর্মরত কক্সবাজারের ঈদগাহ’র বাসিন্দা শের আলী পিপিএম জানান, কক্সবাজারের সদর উপজেলার লিংক রোড, ঈদগাঁও, ইসলামপুর, রামুর বাইপাস, পানির ছড়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি, আধুনগর, আমিরাবাদ স্টেশন, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চরলক্ষ্যা এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় বহু লোক। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয় বিভিন্ন যাত্রী ও পথচারী। যাত্রীদের মধ্যে পিকনিক পার্টির সদস্য বহু পর্যটক অকালে প্রাণ হারান। চকরিয়ার জাইল্যারাঢালা, ভান্ডারির ডেবা, ইনানী, বরইতলী, বানিয়ারছড়া, ইসলাম নগর, জিদ্দাবাজার, ভাঙ্গারমুখ, ফাঁশিয়াখালী, রিংভং, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা ও খুটাখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে বহু গণপরিবহণের মুখোমুখি সংঘর্ষও ঘটে। ওভারটেকিং ও দ্রুত গাড়ি চালানোর সময় পিচ্ছিল সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লবণ পরিবহণের ক্ষেত্রে লবণ জল সড়কে না পড়ার ব্যাপারে লবণ ব্যবসায়ী ও পরিবহণ মালিক চালকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কড়া নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা না মানলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে বলে অভিজ্ঞ মহল দাবি করেন।
পাঠকের মতামত: