নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শতাধিক সরকারী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা চত্বরে হিসাব রক্ষণ অফিসের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে দিনশেষে খালি হাতে ফেরত গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক(সংরক্ষিত আছে) অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মচারী জানান; তাদেরকে শনিবার চকরিয়া হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে পেনশন বই নিয়ে রোববার চকরিয়া সদরের উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে যাওয়ার জন্য। তারা কথা মতো রোববার সকালে শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী যথারীতি উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে যান। হিসাব রক্ষণ অফিসে পেনশন বই জমা দিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিসের বারান্দায় অপেক্ষা করেন। কিন্তু দিনশেষে তাদেরকে আবার মঙ্গলবার আসতে বলে দেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মচারী জানান; তিনি এসেছেন ২০ কিলোমিটার দূর থেকে। এই পথ অতিক্রম করে আসতে তাকে অন্তত ৪ বার গাড়ী বদল করতে হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার হেঁটেও আসতে হয়েছে। এখন খালি হাতে ফেরত যেতে হচ্ছে। তিনি জানান, গাড়ী না পেলে তাকে ওই ২০ কিলোমিটার পথ হেটে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। তিনি বলেন তারা স্বামী স্ত্রী দু’জনই অসুস্থ। বিল করতে না পারায় ওষুধের দোকান থেকে বাকীতে ওষুধ নিতে হবে। তিনি মরে গেলেও আর হিসাব রক্ষণ অফিসে আসবেননা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমাদের সামনেই ওই হিসাব রক্ষণ অফিসে ঠিকাদার ও জনপ্রতিনধিদের বিল পাস করে দেওয়া হয়েছে।
অপর এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা চাইলে আজকেই আমাদের বিল পাস করে দিতে পারতো। শুধু হয়রানি করার জন্য বিল পাস করেননি। এই করোনা দুর্যোগের সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনা ঝুঁকি রয়েছে। তা ছাড়া যানবাহন না থাকায় যাতায়ত করা একেবারেই অসম্ভব। এ অবস্থায় ডেকে এনে আমাদেরকে এভাবে ফেরত দেওয়াটা উচিত হয়নি।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার নন্দন পাল সাংবাদিকদের বলেছেন, সার্ভারে সমস্যা থাকায় তাদেরকে আবার মঙ্গলবারে আসতে বলা হয়েছে। কারো কারো বিল কিভাবে পাস করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সার্ভার যখন কাজ করছে তখন চেষ্টা করে দেখতেছি। #
পাঠকের মতামত: