ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া হারবাং থেকে জঙ্গি গ্রেপ্তার, চট্টগ্রামে ট্রাফিকবক্সে বোমা হামলার ঘটনায় 

নিউজ ডেস্ক :: চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিট অভিযান চালিয়ে মো. সাহেদ (১৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ দাবি করছে, গ্রেপ্তারকৃত সাহেদ জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত। সাহেদ লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের শেখ আহম্মদ বার্বুচি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার হাসান মো. শওকত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

গ্রেপ্তারকৃত সাহেদ জানায়, শাহজাহানের মাধ্যমে সাহেদ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। শাহজাহান পরিচয় করিয়ে দেয় জহির ও মোরশেদের সঙ্গে। শেষে পরিচয় হয় কায়সার, আবু ছাদেক, সেলিম, নোমান, আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন, হাবিব, কাইয়ুম সহ আরো কয়েকজনের সঙ্গে।

হামলার দিনের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে সাহেদ জানায়, পলাতক আসামি সেলিমের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে কায়সারসহ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তারা নতুনব্রিজ আসে। সেখানে সেলিম, ছাদেক ও হাবিবসহ কয়েকজন একত্র হয়। ছাদেকের হাতে একটি কার্টুন ছিল। নতুন ব্রিজ থেকে শাহেদ, সেলিম, হাবিব, কায়সার ও আবু ছাদেক এক সঙ্গে ২নম্বর গেট আসে। দুই নম্বর গেট থেকে সাইফুল তাদের ইমরানের বাসায় নিয়ে যায়। ওইদিন জুমার নামাজের পর কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। শেষে ষোলশহর পুলিশ বক্স টার্গেট করে বোমা হামলার জন্য। এরপর সেলিম কিভাবে আইইডি বোমা রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাতে হয় সেই বিষয়ে এমরানকে প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণ শেষে এমরানের হাতে রিমোট হস্তান্তর করে।

কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিটের অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকার পুলিশবক্সে বোমা রেখেছিল দুই জঙ্গি। ওই দুজনের একজন সাহেদ। তাদের রাখা বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন দুই পুলিশ সদস্য, এক শিশু ও দুই পথচারী।

বোমা হামলার ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ ২৯ ফেব্রুয়ারি এক টুইটে দাবি করে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস চট্টগ্রামের পুলিশবক্সে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।

হামলার ঘটনার পর ৩মে বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকার একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিট। এরই ধারাবাহিকতায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে।কালেরকন্ঠ

পাঠকের মতামত: