বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সারা দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে মহসড়কের সড়কের দু‘পাশ থেকে প্রায় ৩শতাধিক দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে । আজ ৬মার্চ সকাল থেকে বরইতলী সংযোগ সড়কে থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চকরিয়া সদরের মাতামুহুরী ব্রীজ পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলেছে । আগামী কাল থেকে পুনরায় অভিযান চলবে বলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ চকরিয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ আরো জানায়, স্ব-স্ব এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কক্সবাজার- চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু”পার্শ্বের সড়কের জমি দখল করে পাকা ও আধাপাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মান করে যুগ যুগ ধরে দখল করে রাখে। এতে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ও যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়ক দূর্ঘটনা ও যানজট মুক্ত এবং মহাসড়ককে চারলেইন করার জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়কের পার্শ্বের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে ।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম- কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বরত সম্পত্তি ও আইন বিষয়ক কর্মকর্তা এবং নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট আব্দুল মান্নান জানান, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে এ অভিযান চলছে। উচ্ছেদ অভিযান গতকাল ৫মার্চ থেকে কক্সবাজার চট্ট্রগ্রাম মহাসড়কের দোহাজারী থেকে শুরু করা হয়েছে। এ অভিযানে দোহাজারী বাজারে ৭০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে আজ ৬মার্চ মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী থেকে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রীজ পর্যন্ত দিনব্যাপী অভিযানে ৩ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ও তিনি জানান।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে চকরিয়া পৌরসদরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচেজ্ছদ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে । অনেকে আবার ক্ষয়ক্ষতি বেশী হওয়ার আশংকায় নিজ উদ্দ্যোগে স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে। আজ সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনেক ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা মার্কেটের সামনের অংশ ভেঙ্গে ফেলেছে।
পাঠকের মতামত: