ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পহরচাঁদা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পাহাড় কেটে মাটি লুট, হুমকির মুখে জনবসতি, ম্যাজিষ্ট্রেটের দেখে পালিয়ে গেছে জড়িতরা, স্কেভেটর জব্দ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বনবিভাগের মালিকানাধীন পাহাড় কেটে মাটি লুটের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আশপাশের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেকটা জিন্মি করে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে দিব্যি বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। এ অবস্থার কারণে চরম হুমকির মুখে পড়েছে পাহাড়ের পাদদেশ এবং নীচের অংশের বিপুল জনবসতি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পরিবেশ সচেতন মহলের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। ওইসময় আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড় কাটায় জড়িতরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

আদালতের পেশকার চকরিয়া উপজেলা ভুমি অফিসের পেশকার মিলন কান্তি বড়–য়া বলেন, স্থানীয় একটি একটি প্রভাবশালী চক্র বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বনবিভাগের মালিকানাধীন পাহাড় কেটে কেটে দিব্যি বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থার কারণে চরম হুমকির মুখে পড়ে বিপুল জনবসতি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পরিবেশ সচেতন মহলের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। ওইসময় আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড় কাটায় জড়িতরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। পরে স্কেভেটর গাড়িটি স্থানীয় বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাদলের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন বলেন, অভিযানের সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে যাতে কেউ আর পাহাড় কাটতে না পারে। সেইজন্য ঘটনাস্থলে তদারকি করবেন ইউপি চেয়ারম্যান। পাশাপাশি পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগকে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: