নিউজ ডেস্ক :: চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে টেস্টে পাঠাতে স্যাম্পল দেওয়া ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) এর ফটোস্ট্যাট কপি লাগবে। স্যাম্পল দাতা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে সেক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধনের ফটোস্ট্যাট কপি সাথে জমা দিতে হবে।
করোনার হটস্পট হিসাবে পরিচিত চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ২৭ মে বুধবার এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আদেশ জারী করেন।
গণবিবিজ্ঞপ্তিতে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আসা ব্যাক্তি স্যাম্পল টেস্টে দেওয়ার পর ল্যাব থেকে টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্যাম্পলদাতাকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। স্যাম্পল প্রদানকারী টেস্ট রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হোম কোয়ারান্টাইনে না থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ তাকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে অর্থাৎ ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ করোনা রোগী বা তার পরিবারের প্রতি ঘৃনা বা অবহেলা নয়, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য চকরিয়াবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মিথ্যা পরিচয়ে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল টেস্টে দিয়ে রিপোর্ট পজেটিভ আসলে অনেককে আর সহজে খোঁজে পাওয়া যায়না। ফলে স্থানীয় প্রশাসনকে নিরুদ্দেশ থাকা করোনা পজেটিভ রোগী নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়।
এদিকে, বুধবার ২৭মে করোনার হটস্পট হিসাবে পরিচিত চকরিয়া উপজেলায় আরো ৫জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন-চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার একজন পুরুষ, বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদার একজন পুরুষ, ডুলাহাজারার ইউনিয়নের একজন পুরুষ, খুটাখালী ইউনিয়নের একজন পুরুষ।
এনিয়ে চকরিয়া উপজেলায় বুধবার পর্যন্ত মোট ১৪৭জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হল। কক্সবাজার জেলায় উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে আক্রান্তে চকরিয়া উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন। মাওলানা সিরাজ উল্লাহ নামক চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হাল কাকরার একজন গত ২৫মে মৃত্যুবরণ করেছেন।
পাঠকের মতামত: