ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া জমজম ও মা-শিশু জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে প্রসুতি রোগীকে আর্থিক হয়রাণির ঘটনায় থানায় অভিযোগ!

ovijog_1এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া পৌরসদরে দুটি বেসরকারী হাসপাতালে একজন প্রসুতি রোগীর চিকিৎসা সর্ম্পকে দুই ধরণের রির্পোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে ফয়সাল আহমেদ নামের ভুক্তভোগী রোগীর এক স্বজন বাদি হয়ে রোববার রাতে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। অভিযোগটিতে চকরিয়া শহরের বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু হাসপাতালকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগে বাদি চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ জানান, তাঁর প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা খানম পপি আটমাসের অন্তস্বত্বা। শাররীক অবনতি হলে গত ২১ এপ্রিল ওই প্রসুতিকে ভর্তি করেন চকরিয়া সদরের মা ও শিশু হাসপাতালে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা ওইসময় রোগীকে চিকিৎসার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির রির্পোটে ওই প্রসুতির বাচ্চা অসুস্থ, দুর্বল ও বাচ্চার পজিশন বাঁকা বলে জানান। এ ঘটনায় রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কে পড়ে যান। পরে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা ওই প্রসুতিকে বাঁচাতে হলে সিজার ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই বলে জানান। এতে আরো বিপদে পড়ে যান স্বজনরা।

ফয়সাল আহমেদ জানান, মা ও শিশু হাসপাতালের এ ধরণের রির্পোটের কারনে পরিবার সদস্যরা অনেকটা আস্থা হারিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের অপর বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতালে প্রসুতিকে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে টানা দুইদিন চিকিৎসা দেয়ার পর জমজম হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসকের পরামর্শে পুনরায় প্রসুতি পপির আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন।

ফয়সাল আহমেদ দাবি করেন, জমজম হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে দেখেন মা ও শিশু হাসপাতালের দেয়া রির্পোটের মধ্যে অনেক ব্যাবধান রয়েছে। এরপর পরিবার সদস্যরা পুণরায় মালুমঘাট প্রসুতি পপিকে নিয়ে যান মালুমঘাট মা-মণি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাসহ আবারো আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান রোগীর। পরক্ষনে দেখেন জমজম হাসপাতাল ও মালুমঘাট মা-মণি হাসপাতালের রিপোর্ট অবিকল। কিন্তু চকরিয়া সদরের মা ও শিশু হাসপাতালের দেয়া রির্পোটটি রোগীকে হয়রানির উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে।

ফয়সাল আহমেদ জানান, চকরিয়া সদরের মা ও শিশু হাসপাতাল ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর স্বামী প্রবাসে দুঃচিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে দুবাই প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হলে ৩ দিন পরে সুস্থ হন। মা ও শিশু হাসপাতালের ভূল চিকিৎসার কারণে পরিবার পরিজন মানসিকভাবে যেমন আতঙ্কে ছিলেন, তেমনি রোগীকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়ঝাপের কারনে পরিবারের প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে থানার এজাহারে দাবি করেন বাদি ফয়সাল।

পাঠকের মতামত: