ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া খুটাখালীতে মসজিদের ইমামকে শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলী বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিজুল হককে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী বাড়ীতে ডেকে নিয়ে মসজিদের ইমামকে শারিরীক নির্যাতন করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য জোরপূর্বক খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীরা।

পরে ঘটনাটি সমাজের সাধারণ ও সচেতন মহলে ঘটনাটি জানাজানি হলে ইমামকে মারধর সহ অন্যায়ভাবে স্ট্যাম্প নেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মসজিদের সামনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুরুষ-নারী মিলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাস্টার হাসান, লাল মুহিত উদ্দিন সাগর, মাওলানা আজিজুল হক,আব্দুল খালেক সহ আরো অনেকেই। তারা বলেন, ইমাম আজিজ ৮/৯বছর যাবৎ আমাদের মসজিদে ঈমামতি করে আসছে। এইসময়ে সমাজের কারো সাথে মতবিরোধ বা মনোমালিন্যতা নেই। ইমামের একটাই দোষ”প্রতি শুক্রবার জুমা নামাজের আগে সুদ,ঘুষ,সমাজের নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কুরআন আর হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াজ করেন।
বক্তারা বলেন, এসব ওয়াজের জন্য স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল হালিম এসব কাজে জড়িত বলেই সে টেনে নিয়ে আরো লোকজন জড়ো করে ইমামকে এলাকা ছাড়া করার জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
এরই অংশ হিসেবে মক্তবের ভেতর ধর্ষণ করেছে বলেএমন সাজানো নাটক তৈরীর মাধ্যমে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারীকে ভুল বুঝিয়ে ইমামকে ডেকে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করে। পরে এলাকা ত্যাগ করার জন্য জোরপূর্বক খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়েছে। আমাদের দাবি, মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে এসব সিদ্ধান্ত নিতে তাদেরকে এই অধিকার কে দিয়েছেন।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী, মসজিদের ইমামকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: