নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটার তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়তির অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরণের প্রশ্নবিদ্ধ দেখা দেয়। এঘটনায় ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী অভিভাবক প্রার্থী সাংবাদিক এম.জিয়াবুল হক (ব্যালট ক্রমিক নং-১) নির্বাচনের অনিয়ম জালিয়তির ঘটনা তুলে ধরে প্রয়োগকৃত ভোট পুন:গণনার দাবী জানিয়ে গতকাল রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির (মাধ্যমিক শাখার) অভিভাবক প্রার্থী সাংবাদিক জিয়াবুল হক দাবী করেন, নির্বাচন শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক উপস্থাপন করা ফলাফলে প্রয়োগকৃত আমার ভোটের ফলাফল ২৮৩ এবং অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল মোক্তাদির (ব্যালট ক্রমিক নং-৩) এর প্রয়োগকৃত ভোট ২৯৬ দেখানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাড়াহুড়া করে ভোট গণনা করায় আমার ভোটের পরিমাণ অপর প্রার্থীর নামে ও তার ভোটের পরিমাণ আমার নামে দেখানো হয়েছে।
প্রার্থী সাংবাদিক জিয়াবুল হক অভিযোগ করে আরও বলেন, ভোট গ্রহণকালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অন্তত ৬০-৭০ টি জাল ভোট ও মৃত ব্যক্তিদের নামের (ভোটার তালিকায় নাম আছে) ভোট কৌশলে প্রয়োগ করেছেন এবং একজন অভিভাবক দ্বৈত ভোটার (ডাবল) তাদের ভোটও প্রয়োগ করেছেন। যা তদন্তে শতভাগ প্রমাণিত হবে।
নির্বাচনে জাল ভোট, দ্বৈত ভোটার ও মৃত ব্যক্তিদের ভোট প্রয়োগের সম্ভাবনা থাকায় ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে আসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করা হলেও তা উপেক্ষা করে জালিয়তির মাধ্যমে এই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংক্ষুব্ধ অভিভাবক প্রার্থী জিয়াবুল হক।
এই অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির জালিয়তির বিতর্কিত এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে প্রয়োগকৃত জাল ও দ্বৈত এবং মৃত ব্যক্তিদের ভোট সনাক্ত পূর্বক পুন:রায় গণনার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে একই ধরণের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মো: জাহেদুল ইসলাম (ব্যালট ক্রমিক নং-২)। তিনি দাবী করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বহিরাগত লোক এনে জাল ভোট প্রদান করেছে। ভোটার তালিকায় নাম আছে এ ধরণের অসংখ্য অভিভাবক বিদেশে থাকলেও কৌশলে তাদের ভোট প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ভোট প্রদানের আগে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের (ভোটার) জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক করার আপত্তি জানানো হলেও তা লঙ্গন করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ভোট গণনাকালে তার প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মূলত এই নির্বাচনটি সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ। তাই আমি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে পুন:রায় নির্বাচনের দাবী জানান তিনি। ##
পাঠকের মতামত: