নিজস্ব প্রতিবেদক :: মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বেসরকারী সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) কক্সবাজারের চকরিয়া (পৌরসভাসহ) ও রামু উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নে কোভিড-১৯ ভাইরাস এর ওপর সচেতনতামূলক ও সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংস্থাটি দুই উপজেলার ২০ হাজার ৪০০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে অতীতের ন্যায়।
এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় প্রকল্প অবহিতকরণ সভা করেছে। চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
সভায় বক্তারা করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা এবং নারী-শিশুর ওপর লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইপসা-আইআরসি সাপোর্টেড প্রজেক্টের প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর মো. রুহুল্লাহ্ খান কামালের সঞ্চালনায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এর প্রতিনিধি (এমইএএল) মো. সাখাওয়াত হোসাইন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে পৌরসচিব মাসউদ মোর্শেদসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর মো. রুহুল্লাহ্ খান কামাল জানান, কোভিড-১৯ ভাইরাস এবং অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব হতে সুরক্ষা প্রদানে সহযোগীতা করা এবং মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনা হচ্ছে প্রকল্পের লক্ষ্য। আর উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রতিনিয়ত লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধকল্পে নারী ও কিশোরীদের সুরক্ষা প্রদান করা প্রকল্পের মাধ্যমে।
তিনি আরো জানান, এই সমস্যা নিরসনে চকরিয়া ও রামু উপজেলায় ঘরে ঘরে গিয়ে সচেতন এবং কাউন্সেলিং, প্রজনন স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে স্ট্যান্ডিং কমিটি কার্যকর করা, তিনটি ইউনিয়ন মিলে একটি করে উইমেন এবং গার্লস স্পেস তৈরি করাসহ ১৭টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে প্রকল্পের মাধ্যমে।
পাঠকের মতামত: