এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিয় চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নাগরিক কমিটির ব্যানারে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী মাঠে লড়বেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর কমিশনার ফজলুল করিম সাঈদী। গতকাল বিকেলে চকরিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, চকরিয়া উপজেলাবাসি তাকে চেয়ারম্যান পদে একজন পরীক্ষিত সেবক হিসেবে দেখতে চান। তফসিল ঘোষনার আগে থেকে তিনি নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। জনগনের সঙ্গে প্রতিদিন কুশল বিনিময় করেছেন। উপজেলার প্রতিটি জনপদে মানুষের মুখে মুখে বর্তমানে সাঈদীর সমর্থনে রব উঠেছে। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার সাড়ে ৫ লাখ জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ভোটযুদ্ধে থাকবেন বলে ঘোষনা দেন। উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের কাছে দায়বদ্ধতার কারনে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবো।
তিনি একত্রে ক্রীড়াবিদ, শ্রমিক নেতা ও রাজনীতিবিদ। পরপর চকরিয়া পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় ক্রীড়াবিদ হিসেবে খ্যাতি থাকলেও পরে সামাজিক কর্মকান্ডে ও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা এ রাজনীতিবিদ এখন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। পাশাপাশি কক্সবাজার ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন। ক্রীড়াবিদ হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ জামালের নামে প্রতিষ্টিত চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাবের সভাপতি। ফুটবল খেলাকে তিনি স্কুল পর্যায়ে ও যুবসমাজের কাছে জনপ্রিয় করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
নাগরিক কমিটির প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, গত দুইযুগ ধরে চকরিয়া জনপদে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছি। দলের দু:সময়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে থেকে অগ্রভাগে ছিলাম। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে জোট সরকার আমলে কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আড়াইবছর কারাভোগ করেছি। দল থেকে বিনিময়ে কিছুই পায়নি।
সেইজন্য এবার সিদ্বান্ত নিয়েছি দলের মনোনয়ন না পেলেও আমি নাগরিক কমিটির ব্যানারে জনগনের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে লড়ে যাব। নির্বাচনে লড়তে গিয়ে শত প্রতিকুল পরিস্থিতি সামনে আসলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবো না। ইনশাল্লাহ আগামী ১৮ মার্চ চকরিয়া উপজেলা ও পৌরবাসির অকুন্ঠ ভালবাসায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার নেতৃত্বের প্রতি ঝোঁক ছিল। ১৯৮৬ সালে চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দিয়ে রাজনীতির হাতেখড়ি শুরু। পরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছি। চকরিয়া পৌরভার প্রথম নির্বাচনে বিপুল ভোটে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। আমার কর্মকান্ডে এলাকার লোকজন খুশি হয়ে পরেরবারও আমাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে জনগনের নাগরিক সেবা ও সকল ধরণের উন্নয়ন কাজে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। এলাকার মুরুব্বীদের সহায়তায় সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করা হবে। এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, গীর্জা ও শিক্ষা প্রতিষ্টানের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সংখ্যালঘু সম্পাদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব ধরণের মাদক ও জবরদখল এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন করা হবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, উন্নয়ন কর্মকা-ের পাশাপাশি চকরিয়া উপজেলাকে ক্রীড়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম’র সাথে পরামর্শ করে তার অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ করা হবে। অপরদিকে কারা নির্যাতিত নেতাকর্মী ও যারা দুঃসময়ে দলের কাছে ছিলেন তাদের সহযোগীতা করা হবে। এইজন্য আমি সকল ধরণের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার মাধ্যমে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় নিশ্চিতে সকলস্তরের নেতাকর্মী ও সংগ্রামী চকরিয়াবাসীর সহযোগীতা চাই।
পাঠকের মতামত: