নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী ( ডাব্লিউএফপি )র অর্থায়নে খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি কর্তৃক দেওয়া তৃতীয় দফায় বুধবার দুপুরে তালিকাভুক্ত ২ হাজার ৫ শত ৬০ জন উপকারভোগীর মাঝে চকরিয়া উপজেলার হারবাং. বরইতলী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে জনপ্রতি ১ বস্তা(৩০ কেজি) করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। ১৭ আগষ্ট থেকে এই তৃতীয় দফার খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলায় ১৮ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১৬ হাজার ৫শত উপকারভোগীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
চকরিয়ায় বিতরণ শেষ হলে পেকুয়া উপজেলায় এই মাসে ৫ হাজার ৫শত উপকারভোগীদের মাঝে ৩০কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া)’র এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ’র সার্বিক সহযোগিতায় এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডাব্লি¬উএফপি অর্থায়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুষ্টুভাবে এ কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে চকরিয়ার বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি (সোসাল এ্যাসিস্ট্যান্স এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দি ফিজিক্যালি ভালনারেবল)।
বুধবার চকরিয়া উপজেলার হারবাং. বরইতলী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে এ চাল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, হারবাংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান মিনারুল ইসলাম মিনার, বরইতলী ইউপি জালাল আহমদ সিকদার, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এসএআরপিভি’র ত্রাণ সমন্বয়ক ইয়াসমিন সোলতানা, এসএআরপিভি’র আক্তার কামাল মিরাজ, এসএআরপিভি’র ডা. আবদুল মালেক, জিয়াউর রহিম, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য গত জুন মাসে চকরিয়ায় ১৬ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে প্রথম দফায় দেওয়া হয়েছে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে ভাল মানের চাল ও ৫ কেজি হাই এনার্জি বিস্কুট। ওই একই সময়ে পেকুয়ায় ৭ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে দেওয়া হয়েছে ৩০ কে.জি করে ভাল মানের চাল। জুলাই মাসে চকরিয়া ও পেকুয়ায় এই একই পরিমান উপকারভোগীর মাঝে নগদ ৪ হাজার ৫শত টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: