ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং, পুলিশের চেকপোষ্ট

চকরিয়ায় ২৮১ গ্রামে কার্যকর সর্বাত্বক লকডাউন, মাঠ তদারকিতে জেলা প্রশাসক

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনার আলোকে ১৪ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার অন্তত ২৮১ গ্রামে কঠোর মনিটরিং জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন। দুই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট যথাক্রমে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে ১৪ এপ্রিল ভোর থেকে পালা করে ছুটে চলছেন উপজেলার প্রতিটি জনপদে। তাদের সঙ্গে লকডাউন কার্যকরে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো.তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ওসি শাকের মুহাম্মদ যোবায়ের ছাড়াও পুলিশের একাধিক টিম।

ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষথেকে সড়ক-মহাসড়কে বসানো হয়েছে তল্লাসি চৌকি। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ মনিটরিংয়ে উপজেলার প্রতিটি জনপদে কার্যত বন্ধ রয়েছে সবধরণের দোকানপাট। শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশনার আলোকে খোলা আছে ফার্মেসী এবং কিছু কিছু খাবার দোকান। প্রশাসনের কঠোর মনিটরিংয়ে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। তবে নিন্মআয়ের শ্রমজীবি মানুষগুলো (বিশেষ করে ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চালকরা) জীবনের ঝুঁিক আছে জেনেও জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগন্য।

প্রায় ৬ লাখ জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে কী প্রদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সরেজমিনে দেখতে চকরিয়া এসেছেন কক্সবাজারের জেলা মো. মামুনুর রশীদ। তিনি লকডাউনের প্রথমদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরজমিন চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

জেলা প্রশাসক মো.মামুনুর রশীদ প্রথমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার খুটাখালী বাজার এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এর পর তিনি পর্যায়ক্রমে ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, চকরিয়া পৌরসভার বাস টার্মিনাল, চিরিঙ্গা সোসাইটি, পুরাতন বাসস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানা দিক-নির্দেশনাও প্রদান করেন। এ সময় সাথে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন, চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেন, থানার অপারেশন অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসাইনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আনসার সদস্য এবং অসংখ্য পুলিশ।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাত ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক চকরিয়ায় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ নিশ্চিত করা হচ্ছে। দুইজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বক্ষনিক মাঠ তদারকিতে আছেন। ইতোমধ্যে মান্যবর জেলা প্রশাসক লকডাউন পরিস্থিতি সরজমিন পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, সর্বাত্মক লকডাউক বাস্তবায়নে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলা অংশের ৩৯ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চকরিয়া পৌরশহরের বক্সরোডে একটি এবং অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে আরো অসংখ্য চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। যাতে অন্য উপজেলা থেকে যাত্রীবাহী কোন ধরণের যানবাহন চকরিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে।

 

 

পাঠকের মতামত: