ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ১৯দিনেও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যার আসামীরা গ্রেপ্তার হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হাজিপাড়ায় জমি বিরোধের জের ধরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ১৯দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে হতাশা ভর করেছে সোহেলের পরিবার ও স্বজনদের মাঝে।

অপরদিকে সোহেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় কয়েকশত নারী-পুরুষ। ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই কর্মসূচী পালন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে ৬নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত মুন্নার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আজম, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যা সাদ্দাম হোসেন মিটু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম রাহিত, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ মাহাবী, নাঈম বাবু প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন সোহেলের বাবা রফিক উদ্দিন রকি, শ্বশুর মেহের আলী, মিজানুর রহমান।

বক্তারাা বলেন, ‘সদ্যবিবাহিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেলকে রাতের আঁধারে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু ঘটনার ১৯দিন পার হলেও একজন আসামী ছুঁতেও পারেনি পুলিশ। আসামী গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় খুনিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে এবং মামলার বাদীসহ স্বজনদের প্রকাশ্যে হুমকিও দিচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা সোহেল হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা।’

প্রসঙ্গত গত ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাতের আঁধারে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হাজিপাড়ায় জমির বিরোধের জের ধরে একা পেয়ে সদ্য বিবাহিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানাকে (২৮) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিয়ের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সোহেল রানা।

এ ঘটনায় সোহেলের বাবা রফিক উদ্দিন রকি বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন পৌরসভার ভরামুহুরী গ্রামের মৃত আহমদ শফির ছেলে নুরুল হোছাইন, মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম, মৃত আবদুল মজিদের ছেলে কফিল উদ্দিন, ওয়ার্ডের পালাকাটা কাসেম মাষ্টার পাড়ার মাষ্টার আবুল কাসেমের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ভরামুহুরী হাজিপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আইয়ুব, নুরুল আলমের ছেলে মো. হাসান, আলী হোছেনের ছেলে আবুল বশর, আবুল কাশেমের ছেলে আবু ছিদ্দিক।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘পুলিশ এই হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে খুবই আন্তরিক। কিন্তু সকল আসামী আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হবে।’

 

পাঠকের মতামত: