ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

জন্মশতবর্ষে জাতির পিতার জীবনীমুলক ৬৮০৮টি বই উপহার

চকরিয়ায় ১৪৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চার কলেজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলাধীন ১৪৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজে অবশেষে স্থাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার। ইতোমধ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে কক্ষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনের লক্ষ্যে সেইভাবে সাজানো হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের এই মাসে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করার কাজ শেষ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এর পরিকল্পনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলার আঠার ইউনিয়ন একটি পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত ১৪৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয় গেল ডিসেম্বর থেকে। সেইলক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি এবং সকল প্রধান শিক্ষকদের অংশগ্রহনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত ওইসভায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ঘোষনা দেন, উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সাজানো হবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে লাল সবুজ রঙে। যাতে বিদ্যালয়ের রঙ লাল সবুজ দেখে সবাই বুঝতে পারবে এটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি নতুন সাজে বিদ্যালয়ে ঢেলে সাজানো হলে শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে। লেখাপড়ায় আরও মনোযুগী হবে।

ওইদিনের সভায় সাবেক চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের উপস্থিতিতে ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ঘোষনা দেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের আগে চকরিয়া উপজেলাধীন ১৪৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হবে ‘ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার। যার চেতনা ধারণ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক অবদানের ইতিহাস। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা অর্জনে বাঙালি জাতির গৌরবগাঁথা সংগ্রাম।

সেই বিষয়টি সামনে রেখে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগ উপজেলার প্রত্যেক বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন। এরই ফলশ্রুতিতে অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলার ১৪৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনের লক্ষ্যে সেইভাবে সাজানো হচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবসের এই মাসে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনের প্রথমধাপ হিসেবে সর্বশেষ ১৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৪৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজকে বই উপহার দেওয়া হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, শৈশব, জীবন আর্দশ, রাজনৈতিক কৌশল, আর্দশসহ সামগ্রিক জীবন চিত্রের উপর লেখা ( প্রতিটি বিদ্যলয়ে ৪৬টি করে) মোট ১৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮০৮টি বই দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৬ মার্চ চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে ৪৬টি করে বই তুলে দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও চারটি কলেজের অধ্যক্ষ এবং ১৪৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ। ##

চকরিয়ায় ১৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনে বই তুলে দিচ্ছেন ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ

পাঠকের মতামত: