ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ১৪জনসহ কক্সবাজারে করোনায় নতুন শনাক্ত ৮৪, উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  কক্সবাজার শহরে করোনা আক্রান্ত আরো এক রোগী মারা গেছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মহিলাসহ আরো দুইজন। গতকাল সোমবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এসব রোগী মারা যান। একইদিন কক্সবাজারে আরো ৮৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সনাক্ত হওয়াদের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৩৫ জন, উখিয়ার ৭ জন, টেকনাফের ৪ জন, রামুতে ২২ জন, চকরিয়ায় ১৪ জন ও পেকুয়া উপজেলার ২ জন বাসিন্দা রয়েছে।

সোমবার মারা যাওয়া করোনা রোগী ব্যবসায়ী এছারুল করিম (৪২) শহরের পাহাড়তলী ইছুলুরঘোনা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলীর ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলামের ছোট ভাই। এছারুল হক শহরের পাহাড়তলীতে ব্যবসা করতেন। তাদের পরিবারে আরো ২ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। কয়েকদিন আগে মো. এছারুল করিমের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তিনি করোনা টেস্টের জন্য নমুনা জমা দেন। গত রবিবার তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সোমবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরো দুইজন রোগী একই দিন মারা যান। এরমধ্যে শহরের ২ নং ওয়ার্ড নুনিয়াচঢ়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদুল করিম (৩৫) সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় এবং টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫) গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার দিকে মারা যান। তিনদিন আগে মনোয়ারার শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মনোয়ারার মৃতদেহ থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে রোববার রাতে শহরের নুনিয়াচঢ়ার এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদুল করিমের শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

কিন্তু আইসিইউতে কক্ষ খালি না থাকায় তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে সকালে তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে কক্সবাজারে করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো কয়েক ডজন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, সোমবার কমেকের আইইডিসিআর এর ল্যাবে ২৮৩ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। যারমধ্যে ৯১ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ আসে। এরমধ্যে কক্সবাজার জেলার ৮৪ জন, চারজন ফলোআপ রোগী, ৫ জন রোহিঙ্গা এবং বাকী দুইজন চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তিনি জানান, কমেক এর আইইডিসিআর এর ল্যাবে কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার বাসিন্দাদের জন্য টেস্ট সুবিধা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: