এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে সালিশ বৈঠকে কুপিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ক্ষতবিক্ষতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী পুলিশের সাবেক এএসআই বকতিয়ার উদ্দিন ভুট্টোকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের প্রার্থনা জানালে আদালতের বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক কর্তকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টো চকরিয়া উপজেলা ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখীল এলাকার বাসিন্দা মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে। তিনি সর্বশেষ রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকের দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার পরে ডিপার্টমেন্টের উপরস্থ মহলের নির্দেশে তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়।
ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের গ্রামের এলাকায় বসা পারিবারিক শালিসে প্রতিপক্ষের বৃদ্ধা নারীসহ তাঁর তিন ছেলেকে বীভৎস ভাবে কুপিয়ে জখম করে পুলিশের এএসআই বকতিয়ার। ওই হামলার ঘটনায় আহত দুইভাই এখনো একজন পঙ্গুত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আহতরা হলেন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাসিন্দা স্থানীয় মৃত ডা. আবু তাহেরের ছেলে আবু দারদা, নোমান, কামরুল ইসলাম ও তাদের মা রহিমা আক্তার।
হামলার এঘটনায় চলতিবছরের গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রধান করে ১০ জনকে আসামী করে আহতদের পরিবার আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা প্রাপ্তিসাপেক্ষে তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক সাসপেন্ড করেন।
সর্বশেষ রবিবার ওই মামলায় চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তা নাকচ করে আসামি পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টোকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের কৌশলী চকরিয়া উপজেলা আদালতের আইনজীবি লুৎফুর কবির আসামী বকতিয়ার ভুট্টোর হাজতে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।##
পাঠকের মতামত: