নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির সামাজিক বনায়নে করাত দিয়ে গাছ কেটে লুটপাট, আগুন দিয়ে সহস্রাধিক গাছের চারা পুড়িয়ে দেয়া ছাড়াও পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া বাগান মালিককে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। রবিবার (২২জানুয়ারি) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত এ তান্ডব লীলা চালাই। মধ্যরাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার (২৩ জানুয়ারী) চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাইনবোর্ড পাহাড়ের সামাজিক বনায়নে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সামাজিক বনায়নের মালিক এম. জাহেদ চৌধুরী বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতসহ ৪১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০০৭-০৮ সালে বন মন্ত্রণালয় আধা হেক্টর (সোয়া তিন কানি) সামাজিক বনায়নের প্লট বাগান করার জন্য লিজ হিসেবে প্রদান করেন। এরপর থেকে ওই বাগানে বিভিন্ন ধরনের আগর, একাশি, অর্জুন, ইউক্লিপটাস, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন।
কিন্তু অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে আমার বাগানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। তারা ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৪৬ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাগানে আগুন দিয়ে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের সহস্রাধিক চারা গাছ পুড়িয়ে পেলে। পাহাড় কেটে আরো লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে।
বাদী এম জাহেদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তীর নির্দেশে রোববার রাতে এএসআই জাহাঙ্গীর আলম ও সোমবার সন্ধ্যায় এসআই মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক দৃটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও বিস্তারিত ঘটনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন সংরক্ষক বিপুর কৃষ্ণ দাশ ও কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকারকে অবহিত করি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন সংরক্ষক বিপুর কৃষ্ণ দাশ বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছি।
পাঠকের মতামত: