ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

"সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই" শিরোনামে

চকরিয়ায় সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয়সংলাপ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
“সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ঐক্যকে গতিশীল রাখার লক্ষ্যে বহুদলীয় উদ্যোগে “আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ” উপজেলা মিলনায়তন মোহনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর বিকালে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ(পিএফজি) চকরিয়া কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএফজি’র পীসএ্যাম্বাসেডর শাহানা বেগম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জেপি দেওয়ান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি প্রফেসর একেএম গিয়াস উদ্দিন, সুজন চকরিয়া উপজেলা সভাপতি এডভোকেট লুৎফুল কবির, চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা রিফাত আরা জন্নাত, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ্য সালাহ উদ্দিন খালেদ, অধ্যাপক বুলবুল জন্নাত, কৃষক লীগের চকরিয়া উপজেলা সভাপতি আমির হোসেন আমু, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি হোসনে আলম নিয়ামত।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য একটি বিষয়। একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করতে পারে, কিন্তু তাদের মধ্যে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকে তাহলে কখনোই একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারে না। এতে করে সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রীতি নষ্ট হলে সমাজ ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।চারিদিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে অনিবার্যভাবেই যুদ্ধ ও সংঘাত দেখা দেয়। মানুষে মানুষে আস্থার অভাব দেখা দেয়, সৃষ্টি হয় অবিশ্বাসের, বন্ধ হয় সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার পথ। এর ফলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়। বিঘ্নিত হয় দেশের নিরাপত্তা এবং হুমকির মুখে পড়ে দেশের সার্বভৌমত্বের। তাই শুধুমাত্র দেশের ভেতরেই নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুবই জরুরি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদ্মলোচন বড়ুয়া।
উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন পিএফজি’র কো-অর্ডিনেটর আলমগীর কবির রাজু। বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মৌলানা কফিল উদ্দিন ফারুকী, চকরিয়া উপজেলা সনাতন ধর্মীয় নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম আর চৌধুরী, বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ঐক্য পরিষদের কক্সবাজার জেলার মহাসচিব সুরেশ চন্দ্র বড়ুয়া বাঙালি, চকরিয়া উপজেলা বৌদ্ধধর্মীয় নেতা লোকেল বড়ুয়া, মারমা ধর্মীয় নেত্রী অংকে চিং মারমা, খৃস্টান ধর্মীয় নেতা সুব্রত মালাকার, রাখাইন ধর্মীয় নেতা অংকে চিং রাখাইন প্রমূখ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পাঠকের মতামত: