নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতা বাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মালিকানাধীন জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এ জমিতে রাতারাতি দশটি দোকান ঘর নির্মাণ করা হলেও দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের একতা বাজার জামে মসজিদের উত্তর পাশের জমিতে সড়ক ও জনপথের মালিকানার একটি সাইনবোর্ড পুঁতানো আছে। এই জায়গার মালিক সড়ক ও জনপথ, কক্সবাজার সড়ক বিভাগ লেখা এই সাইনবোর্ডে জমিটির আরএস ও বিএস নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জমিটি ভরাট করে সেখানে দশটি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে বর্তমানে মুদি, ফার্নিসার, নির্মাণ সামগ্রী ও চায়ের দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই জমিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি স্টক ইয়ার্ড ছিল। স্টক ইয়ার্ড সরিয়ে নিলে সওজ-এর লোকজন জমিটি যথাযথভাবে দেখাশুনা করেনি। পরে দায়সারাভাবে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে। সওজ-এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমিটি বর্তমানে বেদখল হয়ে গেছে। বরইতলি একতা বাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন, নেজাম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, বেলাল হোসেন, নজরুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম সওজের জমিটি দখল করে সেখানে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সওজ-এর মূল্যবান জমিটি জবর দখলের বিষয়ে চকরিয়া সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনকে অবগত করা হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই সরকারী সম্পত্তি জবর দখলে জড়িতদের সাথে তাঁর গোপন আঁতাতের অভিযোগ ওঠেছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সওজের জমি থেকে নিজেদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে এসব অবৈধ দখলদারদের লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়া না হলে ১৯২৫ সালের হাইওয়ে এ্যাক্টের বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু কুমার চাকমা বলেন, বরইতলি একতা বাজার এলাকায় সওজের জমি দখলের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। সরকারী এ সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
পাঠকের মতামত: