চকরিয়া প্রতিনিধি :: আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা, কেক কাটা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় পৌরশহর চিরিঙ্গায়।
শোভাযাত্রাটি থানা রাস্তার মাথার সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে মহাসড়কসহ পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ছাড়া দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় প্রায় ৫ হাজার মানুষের জন্য মেজবান। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ব্যক্তিগতভাবে এ মেজবানের আয়োজন করেন।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি। উপজেলা শাখার সহসভাপতি সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশীদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির প্রমুখ।
এদিকে পেকুয়া উপজেলায়ও দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি জাফর আলম। বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ বিটু, সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।
জাফর আলম বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগ অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। যার উদাহরণ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর গেল সংসদ নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমাকে এমপি নির্বাচিত করেছেন চকরিয়া-পেকুয়ার ভোটাররা। তাই দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন এবং ৫ হাজার মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষ থেকে আলাদাভাবে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে হারবাং ইনানী রিসোর্টে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুরাদ উদ্দিন চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফজলুল করিম সাঈদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মকছুদুল হক ছুট্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, পরিমল বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দারুচ্ছালাম রফিক প্রমুখ।
পাল্টা কর্মসূচি পালন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর আমরা একজন দলীয় এমপি পেয়েছি। কিন্তু দলের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চকরিয়ায় সমন্বয়ক করা হয়েছে উপজেলার সহসভাপতি সরওয়ার আলমকে। এ কারণে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকেসহ দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই তৃণমূলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যক্তিগতভাবে দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিরানী খাওয়ানো হয়েছে।’
পাঠকের মতামত: