ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

করোনা শেষে স্কুলে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা

 চকরিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্টানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে তাগিদ দিলেন ইউএনও

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  ২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া বৈশি^ক মহামারি করোনার কারণে সারাদেশে লাগামহীন ৫৪৩ দিন বন্ধ ছিল সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একইভাবে করোনার দাপটে কার্যত শিকলবন্ধি থাকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতিসময়ে সারাদেশে করোনার দাপট অনেকাংশে কমে যাওয়ার পরবর্তী মুর্হুতে সরকার সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছেন। এরই আলোকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের সঙ্গে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত অন্তত তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনার আলোকে চালু করা হয়েছে। খোলার প্রথমদিনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস উদ্দিপনায় প্রিয় স্কুলে ফিরেছে।

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিন কোন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসবে এবং ক্লাস করবে তা প্রতিটি বিদ্যালয়কে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে শিক্ষকরা রুটিন মোতাবেক রবিবার থেকে ক্লাস কার্যক্রম চালু করেছে।

এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলে প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চকরিয়া উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ । এসময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, এসএমসি কমিটির সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে শিক্ষার্থীদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজেদের কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের অসুস্থ হলে বা করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাদের স্কুলে না পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করেছেন।

 

পাঠকের মতামত: