নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় এক শিক্ষকের বসতভিটা দখলের চেষ্ঠা চালিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। ওইসময় তারা বসতভিটার ১০-১২টি বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কেটে সাবাড় করেছেন। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব কোনাখালী সিকদারপাড়ায় এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোনাখালীর বাসিন্দা মাওলানা নুর আহমদ কাদেরীর পৈত্রিক বসতভিটা দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একই এলাকার বাসিন্দা জাহেদ উদ্দিন গং। জাহেদ উদ্দিনের নেতৃত্বে তার সহোদর জয়নাল, কুতুব ও কফিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী বসতভিটা দখল নিতে কয়েকবার হানা দিয়েছিলো। দখলবাজদের অব্যাহত দখল চেষ্ঠার মুখে গত ১৭ মে নুর আহমদ কাদেরীর পুত্র এডভোকেট শহীদুল আলম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপ্রেক্ষিতে থানার ওসি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারকে উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে মিমাংসার দায়িত্ব দেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান কাউকে না জানিয়ে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে তান্ডব চালিয়েছেন।
এডভোকেট শহীদুল আলম জানান, গত ২৮ মে শুক্রবার রাতের আধারে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত হয়ে তার বসতভিটার চারপাশে চারফুট করে প্রায় ৮গন্ডা জায়গা জাহেদ উদ্দিনকে জোরপূর্বকভাবে দখল করে দিয়েছেন। তার ভাড়াটিয়া লোকজন কাটাতারের ঘেরাবেড়াও দিতে সহায়তা করেন। ওইসময় সীমানায় থাকায় বিভিন্ন প্রজাতির ১০-১২টি ফলজ গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পৈত্রিকভাবে পাওয়া এককানি বসতভিটায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সেখানে তার বৃদ্ধা মা-বাবাও থাকেন। জাহেদ উদ্দিনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বসতভিটা দখল করেন। তিনি কারও কথা তোয়াক্কা করছেন না। জোরপূর্বকভাবে বসতভিটা দখল করেছেন। বৃদ্ধ মা-বাবাকে জাহেদ উদ্দিন ও তার লোকজন গালি গালাজ করছেন। তার বাবা একজন শিক্ষক এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন। এনিয়ে তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছেন। দখলের ঘটনা নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, জাহেদ উদ্দিন গং ও নুর আহমদ গংয়ের মধ্যে সীমানা বিরোধ চলে আসছিলো।সেখানে বসতভিটা দখল বা গাছ কাটা হয়নি। থানার ওসির অনুরোধে মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষ রাজি না হওয়ায় স্থানীয় সাংসদ বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: