ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বিক্ষুদ্ধ মুসল্লীসহ শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের হামলা বিদ্যুত অফিসে

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  রমজান মাসের শুরুতে চকরিয়া উপজেলার শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি জনপদে বেড়েছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। সারাদিন রোজা রেখে ধর্মপ্রাণ জনগন তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যতের ভেল্কিবাজির কারনে মসজিদে ঠিকমতো নামাজ পড়তে পারছেনা ধর্মপ্রাণ মুসল্লী। তীব্র গরম আর বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে অসহ্য হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ সর্বসাধারণ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দিনরাত ২৪ঘন্টা মিলিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন ১২ঘন্টাও বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরে অবস্থিত বিদ্যুত অফিসে ক্ষুদ্ধমুসল্লীরা হামলা চালিয়েছে। ওইসময় মুসল্লীসহ সর্বসাধারণ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতের দাবিতে অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।

গতকাল রাতে বিদ্যুত অফিসের সামনে বিক্ষুদ্ধ মুসল্লী ও সর্বসাধারণ বিক্ষোভকালে অভিযোগ করে বলেছেন, আগে ঠিকমতো বিদ্যুত সরবরাহ থাকলেও পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে চকরিয়া উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং। বিশেষ করে সেহেরী ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিং চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোজাদারদের। রোজায় সুষ্ঠ ভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করতে ধর্মপ্রাণ মুসলিরা বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবস্যা বাণিজ্যে ধস, ব্যাংক, বীমা বিভিন্ন কলকারখানা, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, কম্পিউটার সাইবার ক্যাফগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণও ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে লোডশেডিংয়ের কারনে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে সেচ মৌসুম শেষ হয়েছে। এরপরও ঘনঘন লোডশেডিং জনজীবনকে বির্পযস্থ করে তুলেছে। তার সাথে বিদ্যুত সেবার মান সহনীয় রাখার দাবি জানিয়েছে তারা।

চকরিয়া বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো.সাইদুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তারমধ্যে অতিরিক্ত গরম। বিদ্যুতের চাহিদাও রয়েছে। বরাদ্দের তুলনায় বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে হিমশীম খেতে হচ্ছে বিদ্যুত বিভাগকে। তারপরও অফিসে হামলা করার মতো ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক।

তিনি বলেন, চকরিয়া বিদ্যুত বিভাগের আওতায় প্রায় ২২হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা বিদ্যুত বিভাগ থেকে বিদ্যুত পাচ্ছেন ৮ মেগাওয়াট, আরও ১ মেগাওয়াট বিদ্যুত ঘাটতি রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত দিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।

বর্তমানে চকরিয়া পৌরশহরের কোচপাড়া পাওয়ার ট্রান্সমিটার থেকে ২২হাজার গ্রাহককে ৫টি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুত বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে ৩টি লাইন চালু থাকলেও অন্য ২টি লাইন বন্ধ রাখতে হয়। গ্রাহকদের মাঝে ২৪ঘন্টা বিদ্যুতের চাহিদা পুরণ করতে মন্ত্রনালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বরাদ্দও মিলেছে। তবে মালামাল আসতে দেরি হয়েছে, সেইকারনে দ্রুত সময়ে কাজ করা যাচ্ছে না।#

পাঠকের মতামত: