নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য ঝুঁিক মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনার আলোকে ১ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার প্রায় ৬ লাখ জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রতিটি জনপদে লকডাউন কার্যকরে কঠোর মনিটরিং জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট যথাক্রমে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে পালা করে ছুটে চলছেন উপজেলার প্রতিটি এলাায়। এরই আলোকে ২ জুলাই থেকে দুই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে মাঠে নামলেন সেনাবাহিনী বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা প্রায় প্রত্যেক এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করেছেন।
এছাড়াও তাদের সঙ্গে লকডাউন কার্যকরে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো.তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ওসি শাকের মুহাম্মদ যোবায়ের ছাড়াও পুলিশের একাধিক টিম।
ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষথেকে সড়ক-মহাসড়কে বসানো হয়েছে তল্লাসি চৌকি। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ মনিটরিংয়ে উপজেলার প্রতিটি জনপদে কার্যত বন্ধ রয়েছে সবধরণের দোকানপাট। তবে লকডাউন সময়ে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপন্যের দোকান খোলার রাখার প্রজ্ঞাপন দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশনার আলোকে খোলা আছে ফার্মেসী এবং কিছু কিছু খাবার দোকান। অটোরিক্সা ছাড়া সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সর্বসাধারণও বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। তারপরও জীবনের ঝুঁিক আছে জেনেও জীবিকার তাগিদে দরিদ্র মানুষ বের হচ্ছেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য ঝুঁিক মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক চকরিয়ায় লকডাউন’ নিশ্চিত করা হচ্ছে। দুইজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বক্ষনিক মাঠ তদারকিতে আছেন। সাথে কাজ করছেন থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী বিজিবির সদস্যরা।
পাঠকের মতামত: