মুহাম্মদ মনজুর আলম .চকরিয়া ঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির মিথ্যে অপবাদে মা-মেয়ে নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত ২টি তদন্ত কমিটির কোন অগ্রগতি নেই। ঘটনার ১৮ দিন আতিবাহিত হলেও ২টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি।
জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট জেলা প্রশাসনের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ও ২৪ আগস্ট চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুয়োমোটো মামলা করেন। ওই বিষয়ে চকরিয়া সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কমিটি দুই দফা সময় বাড়িয়েছে। অপরদিকে সুয়োমোটো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও দুই দফা সময় বাড়ালেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
তবে সময়মতো তদন্ত প্রতিবেদন না দেয়ায় চেয়ারম্যান তদন্তকাজে প্রভাবিত করতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের কাঠের চেয়ার ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে ২৩ আগস্ট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ২৫ আগস্ট নির্যাতিত নারী পারভীন বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৩০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহার নামীয় তিনজন জেল হাজতে রয়েছে। কিন্তু প্রধান আসামী চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম এখনো অধরা।
পাঠকের মতামত: