ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নিপীড়ন ঘটনায় অবশেষে তিনজন গ্রেপ্তার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে শাররীক নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ অবশেষে তিনজন গ্রেফতার করেছে। ঘটনার দুইদিন পর রোববার ভোররাত আনুমানিক তিনটার দিকে হারবাং পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন হারবাং ইউনিয়নের লালব্রীজ এলাকার মাহমুদুল হকের (গরু মালিক) ছেলে নজরুল ইসলাম (২০), উত্তর একই ইউনিয়নের হারবাং বৃন্দাবনখিল এলাকার এমদাদ মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (৩২) ও জিয়াবুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮)। তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান।

অবশ্য পুলিশ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের আগে রবিবার বিকালে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাজীব কুমার দেব তাঁর আদালতে জনস্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনায় একটি মামলা নিয়েছেন। মামলাটি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সদর সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলামকে পরবর্তী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত: গত শুক্রবার গত ২১ আগস্ট দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারকাং ইউনিয়নে এক মহিলা, তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ ৫ জনকে সিএনজি অটোরিক্সা থেকে নামিয়ে গরু চুরির অপবাধ দিয়ে কোমরে রশি বেঁধে পিটায় কিছু লোক। পরে তাদের কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে। সেখানেও তাদেরকে মারধর করে ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান। একপর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদেরকে পরিষদ কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষরা হলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট কুসুমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৫৫), তার কন্যা সেলিনা আক্তার (২৮), আরেক কন্যা রোজিনা আক্তার (২৫), ছেলে মোহাম্মদ আরমান (৩০) ও কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ ছুট্টু (৩৮)। এ ঘটনার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

ঘটনারদিন শুক্রবার রাতে গরু চুরির অভিযোগে নির্যাতিত ৫ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেন গরুর মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহমুদুল হক। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গরু মালিকের সেই মামলায় থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

সর্বশেষ সোমবার (২৪ আগস্ট) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে মা-মেয়েসহ তিনজনকে জামিন দিয়েছেন। ##

 

 

পাঠকের মতামত: