ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মার্কেট নির্মাণ করতে জলাধার ভরাটের চেষ্ঠা, প্রশাসনের অভিযানে বন্ধ

চকরিয়া পৌরবাস টার্মিনালের দক্ষিনে জলাধার ভরাট বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার ইফতেখার উদ্দিন আরাফাত

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা সদরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে জলাধার ভরাটের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অগোচরে প্রভাবশালীরা বাণিজ্যিক বহুতল মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রায় দুইমাস ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চকরিয়া পৌরবাস টার্মিনালের দক্ষিনে প্রকাশ্যে বালু ফেলে জলাধার ভরাটের মহোৎসবে নেমেছে। বুধবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার ইফতেখার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছে।

অভিযানকালে অভিযুক্ত প্রভাবশালী মহলের সংশ্লিষ্টরা পলাতক থাকলেও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইফতেখার উদ্দিন আরাফাত প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০’ অনুযায়ী ঘটনাস্থলের জলাধার ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশাসনের এ অভিযানের ফলে অবশেষে জলাধার ভরাট বন্ধ হওয়ায় পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমআর মাহমুদ।

অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের নিলিপ্তার সুযোগে অভিযুক্ত প্রভাবশালী মহল একাধিক সিন্ডিকেট দিব্যি চালিয়ে আসছে জলাধার, পারিবারিক পুকুর ও গ্রামীণ জনপদের শাখাখাল এবং ছড়া ভরাটের মহোৎসব। বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা সদরের পাশাপাশি উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে চলছে জলাধার ভরাটের প্রতিযোগিতা। অনুরূপভাবে চকরিয়া পৌরবাস টার্নিমালের অদুরে মহাসড়কের পাশে বালু ফেলে প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের মাধ্যমে বাণিজ্যিক বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজে নেমেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার ইফতেখার উদ্দিন মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, জলাধার ভরাট পরিবেশ আইনে সুস্পষ্টভাবে অপরাধ হলেও তা লঙ্ঘনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে অভিযুক্তরা তা অমান্য করে জলাধার ভরাট করছেন। এমনকি তাঁরা জলাধারের সামনে মাথাখিলা অংশে সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ও সরকারি খাস জায়গাও ভরাট করে নিয়েছে। বিষয়টি জানার পর গতকাল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০’ অনুযায়ী ঘটনাস্থলের জলাধার ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরে সেখানে সর্তককীরণ বিজ্ঞপ্তি সমেত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: