নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যরিকেট দিয়ে ট্রাক থেকে অস্ত্রের মুখে ১১টি দেশীয় গরু লুটে নিয়ে অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী চক্র। রোববার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রির্জাভপাড়াস্থ রেল স্টেশনের রাস্তার মাথা এলাকায় ঘটেছে গরু লুটের এ ঘটনা।
রোববার বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রাচীন পশুরহাট খরুলিয়াবাজার থেকে গরুগুলো ক্রয় করে ট্রাকে করে চট্টগ্রামে নেয়ার পথে গরু বোঝাই ট্রাক ছিনতাইকারী চক্রের কবলে পড়েন বলে জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান। এসময় ছিনতাইকারী চক্র সড়কে ট্রাকের সামনে একটি পিকআপ গাড়ি দিয়ে ব্যরিকেট দিয়ে চালক হেলপার ও এক কর্মচারীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গরুগুলো লুটে নিয়ে যায়। এসময় ট্রাক চালক ও গরু পরিবহনে নিয়োজিত কর্মচারীর মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাও লুটে নেয় বলে জানান গরুর মালিক।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে লুন্ডিত গরুর মালিক চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোবিন্দখিল এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বার সওদাগরের ছেলে আবদুল মান্নান চকরিয়া থানায় গিয়ে ওসির কাছে গিয়ে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানান।
এরই প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ, ওসি তদন্ত মো আবদুল জব্বার, অপারেশন অফিসার এসআই রাজীব চন্দ্র সরকার এর নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম মালুমঘাট রির্জাভপাড়া এলাকায় টানা আড়াইঘন্টা অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারী চক্র কৌশলে ওই এলাকা থেকে লুন্ডিত গরুগুলো অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারী চক্র কৌশলে লুন্ডিত গরুগুলো ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
তিনি বলেন, গরু লুটের ঘটনায় জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আক্রান্ত গরু ব্যবসায়ী এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জমা দিলে মামলা নেওয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: