নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
বয়লার মুরগির দাম এক লাফে কেজি ২৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে চকরিয়ারসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে। যা গত এক সপ্তাহ আগে ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বিশেষ করে বরবটি, করলা, পটল ও ঢেঁড়শের দাম সবচেয়ে বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, শীত মৌসুমের সবজি না হওয়ায় এগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। অস্বস্থিতে আছেন ক্রেতার। মুরগি ও মাছের দাম বেড়েই চলেছে। এছাড়া সবজিও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ টাকায়, একইভাবে বাধাকপিও প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, সিম মানভেদে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ি সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির দাম বাড়তি রয়েছে।বাজারে কিছু সবজির সরবরাহ একেবারেই কম। এগুলোর মধ্যে বরবটি প্রতি কেজি ১২০, করলা প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শহরের বড় বাজারে ক্রেতা মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই রকমভাবে বাজারে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। জেলার প্রতিটি বাজারের মধ্যে কম দামে সবজি পাওয়া যায় এই বাজারে। তবে এখন এই বাজরেও সবজির দাম বাড়তি। কোনো কিছুরই দাম কমে না। কোনো সবজির দাম কিছুটা বাড়ে আবার আগের দামে ফিরে আসে। সবমিলিয়ে বলতে গেলে বাজারে সবজির দাম বাড়তিই রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন।
চকরিয়া পৌরসদরের চিরিংগা কাচাঁবাজার এখন সিন্ডিকেট মাছ-মাংশ ও সবজি বিক্রেতার দখলে রয়েছে। তারা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের। লাগামহীনভাবে দাম বাড়ানোর কারণে নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেলেও নিয়ন্ত্রণ করার সাধ্য কারো নেই বললেও চলে। ব্রয়লার মুরগি একলাফে বিক্রি হচ্ছে ২৪০টাকা কেজি। সোনালী মুরগী ৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এভারে প্রতিটি পণ্যে দাম দোকানীরা ইচ্ছে মতো বাড়ানো হলেও প্রশাসনের কোন প্রকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। এছাড়াও গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০টাকায় ।
কক্সবাজার শহরের কানামিয়া বাজারে সবজি বিক্রেতা আবদুর রহিম জানিয়েছেন সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কিছু সবজির সরবরাহ একে বারেই কম। এছাড়া পাইকারি বাজার থেকে মাল কেনার পর পরিবহন খরচ বেড়েছে। সে কারণে লাভ রেখে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। বাজার ভেদে সবজির দামে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না।
এদিকে বাজারে সামুদ্রিক মাছের সংকট হওয়ায় বয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। এখন বয়লার মুরগির দাম রেকর্ড ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কানামিয়া বাজারে। তবে বড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। মুরগির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা দরে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা দরে। মুরগি বিক্রেতারা জানান কিছুদিন ধরে কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে। তবে ওই পরিমান উৎপাদন বাড়েনি। তাই কিছুটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এটি সাময়িক।
পাঠকের মতামত: