কক্সবাজারের চকরিয়ায় এবারও বৈশাখী উৎসবে দুই শতাধিক বাগান থেকে গোলাপ ও গ্যাডিওলাস ফুল বিক্রির ধুম পড়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার ফুলের গ্রাম খ্যাত বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নের একাধিক বাগান ঘুরে ফুল বিক্রির এই উৎসব পরিলক্ষিত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ বরণকে ঘিরে ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় উপজেলার দুই ইউনিয়নের বেশির ভাগ বাগান গুলোতে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ফুল কাটার মহোৎসব।
বাগান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় দুই শতাধিক বাগান থেকে প্রায় লক্ষাধিক লাখ পিস্ গোলাপ বিক্রি হয়েছে। প্রতি হাজার গোলাপ ফুল ৮শত থেকে ৯শত টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। বাগান মালিক সমিতির তথ্য মতে, দুই শতাধিক বাগান মালিকরা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এদিন প্রায় ২০-৩০লাখ টাকার গোলাপ ফুল বিক্রি করেছে। চকরিয়া থেকে সড়ক পথে বেশিরভাগ ফুল সরবরাহ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহত্তম ফুলের বাজার চেরাগী পাহাড় ও কক্সবাজার শহরে। বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় দেখা গেছে গাড়িতে করে চট্টগ্রামে ফুল সরবরাহ দেয়ার এ দৃশ্য।
বরইতলী ফুল বাগান মালিক সমিতির নেতা মঈনুল ইসলাম বলেন, বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক বাগান রয়েছে। গত দুই দশক ধরে এখানকার চাষীরা রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বন হিসেবে ফুল চাষেই ঝুঁেক পড়েছেন। প্রথম দিকে অল্প জমিতে নানা জাতের ফুলের চাষ হলেও সময়ের পরিক্রমায় এখন প্রায় দুইশত একর জমিতে হচ্ছে ফুলের চাষ। হিসেব মতে, স্থানীয় চাষীরা ফুল বিক্রি বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো আয় করছেন।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ ফুল বিক্রি হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় অভিজাত রেস্তোরা হারবাং ইনানী রিসোর্টের জিএম রফিকুল আহসান বুলবুল বলেন, জাতীয় দিবস গুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমনিতে ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় নববর্ষ বরণকে ঘিরে বরইতলী ও হারবাং এলাকার বাগানের গোলাপ সহ বিভিন্ন জাতের ফুল সরবরাহ দেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। তিনি বলেন, সময়ের ব্যবধানে এখানকার চাষীরা ফুল বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বি হয়ে উঠেছে।
পাঠকের মতামত: