মুহাম্মদ মনজুর আলম, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আলম (৭০) কে বিবস্ত্র ও নির্যাতনকারী যুবলীগ নেতা আনছুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ১০ জুন সকাল ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপকূলীয় মহেশখালী উপজেলার ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে ওই মামলার এজাহারনামীয় আরও তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে মামলার অপর আসামী ইউপি সদস্য।
গত ২৪ মে সন্ত্রাসী আনছুর আলম ও তার সহযোগিরা বৃদ্ধ নুরুল আলমকে (৭০) অমানষিকভাবে নির্যাতন চালিছিলো। ওইসময় তার সহযোগিরা বৃদ্ধকে নির্যাতনের ভিড়িও চিত্রধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। ৩ জুন বিবস্ত্র করা ও নির্যাতনের ধারণকৃত ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহুর্তের ভাইরাল হয়ে পড়ে। এধরণের ভিড়িওচিত্রটি দেখে হতবিহল হয়ে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। নিন্দার ঝড় উঠে সারাদেশে। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী উঠে বিভিন্নমহল থেকে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেন। কিন্তু ঘটনার পরপরই মুল নায়ক আনছুর আলম পলাতক হয়ে যায়। আজ ১০ জুন সকাল ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপকূলীয় মহেশখালী উপজেলার ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম এবং চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিুবর রহমান।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা বৃদ্ধ নুরুল আলমকে বিবস্ত্র ও নির্যাতনের মুল নায়ক স্থানীয় যুবলীগ নেতা আনছুর আলমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তাকে ধরার জন্য মোবাইল ট্র্যাকিং ও গোপনে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়েছিলো। ঘটনার মুলক নায়ক যুবলীগ নেতা আনছুর আলম মহেশখালী উপজেলার ষাইটমারা এলাকায় অবস্থান করছিলো। আজ সকাল ১১টার দিকে তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে একদল পুলিশ ওইস্থানে অভিযান চালিয়ে আনছুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোছাইন বাদী হয়ে থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আনছুর আলম মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামী। এছাড়াও ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার এজাহারনামীয় আসামী বদিউল আলমের ছেলে মো. ফারুক, নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. বেলাল ও বদরখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ব্লকের মীর আফজালের ছেলে মো. কায়সার।
পাঠকের মতামত: