এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সময়ে স্বাস্থ্যবিধির আলোকে জনসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইডের ব্যাপক চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলছে। অপরদিকে জনগনের চাহিদার বিষয়টিকে পুঁিজ করে নকল স্যানিটাইজার সামগ্রী বাজারজাতের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র।
এদিকে নকল স্যানিটাইজার সামগ্রী বাজারজাত করার বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে মঙ্গলবার (২৩জুনÑ চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ চকরিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন ফার্মেসী ও নিত্যপণ্যের দোকানে অভিযান চালিয়ে বাজারজাত করার আগমুর্হুতে বিপুল পরিমাণ নকল স্যানিটাইজার সামগ্রী জব্দ করেছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখন অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইড ‘স্যাভলনের’ স্বল্পতা প্রায় সর্বত্রই। আর এই সুযোগে হুবহু মোড়কে সামান্য নাম পরিবর্তন করে বাজারে ছাড়া হয়েছে ‘স্যাভরন’। আর জনগনের চাহিদার বিষয়টি ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছে কতিপয় চক্র। অধিক মুনাফার আশায় বাজারে ছাড়া হচ্ছে মানহীন নকল পণ্য।
তিনি বলেন, নকল স্যানিটাইজার সামগ্রী বাজারজাত করার বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে মঙ্গলবার চকরিয়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন ফার্মেসী ও নিত্যপণ্যের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩০ লিটার (২৩০পিচ) নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও ৬০লিটার ( ৯৪ পিচ) হ্যান্ডস্যানিটাইজার পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এসময় অভিযুক্ত ফার্মেসী ও নিত্যপণ্যের দোকানীকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
আদালতের অভিযানে এদিন চকরিয়া রেডজোন এলাকায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে মাঠপর্যায়ে অবাধে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৮০টি টমটম, মোটরসাইকেল, সিএনজি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ##
পাঠকের মতামত: