ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণে বাঁচল ২০ যাত্রী

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া ঃ  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে যাত্রীবাহী একটি বাসের মধ্যে থাকা অন্তত ২০ জন যাত্রী।

আমবোঝাই একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়ির দুটির সম্মুখভাগ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও বাসের যাত্রীরা ছিলেন অক্ষত।

আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, তবে ওই বাসের দুই যাত্রী এবং পিকআপ চালক সামান্য আঘাত পেলে স্থানীয় তারা স্থানীয় ফার্মেসীতে গিয়ে সামান্য ক্ষতের চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

আহতরা হলেন বাস যাত্রী কক্সবাজার সদর উপজেলার তুলাবাগান এলাকার মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী মিনা আক্তার (২০), পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ার পাড়ার সরোয়ার আলমের পুত্র মোহাম্মদ তামিম (২১) ও আমবোঝাই পিকআপ চালক চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছদাহা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ রাসেল (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখি আমবোঝাই একটি পিকআপের সঙ্গে কক্সবাজার ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখি রিলাক্স পরিবহনের
যাত্রীবাহী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়ি দুটির সম্মুখভাগ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সংঘর্ষের পর যাত্রীবাহী বাসটি সড়ক থেকে আড়াআড়ি হয়ে পড়ে। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও ব্যাপক প্রাণহানি থেকে রক্ষা পায় ওই বাসের যাত্রীরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান জানান, যেভাবে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে এতে ব্যাপক সংখ্যক প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল। তবে এই দুর্ঘটনায় বাসের দুই যাত্রী এবং পিকআপ চালক একেবারে সামান্যই আঘাত পেয়েছেন। এতে তাদেরকে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়নি। তারা স্থানীয় ফার্মেসীতে গিয়ে সামান্য ক্ষতের চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালেও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। সেখানে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কোন যাত্রী চিকিৎসা নিতে যাননি।’

পাঠকের মতামত: