চকরিয়া সংবাদদাতা ::
চকরিয়ার ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা রাজিব উদ্দিন ইব্রাহীম ও ফরেষ্ট গার্ড কাম রেঞ্জ সহকারী ইউনুচ ও মুন্সি জসিম উদ্দিন কর্তৃক গত ২০ নভেম্বর সোমবার রাতের আঁধারে সেগুন কাঠ বিক্রীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় ডুলাহাজারার ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ মেম্বার মিলে জনতার সহায়তায় আজ ২১নভেম্বর সকালে পার্শ্ববর্তি লামা উপজেলার গুলিস্থান বাজার এলাকার কাঠচোর বাহিনীর দখল থেকে মাদার ট্রী সেগুনের ২টি টুকরা কাঠ উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত সেগুন কাঠগুলো ফাসিয়াখালী রেঞ্জারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৪ দিন আগে ডুলাহাজারা বনবিটের জিরানীখোলা বটগাছের পুর্বপার্শ্বের সেগুন বাগান থেকে ৩ টি মাদার ট্রী সেগুন গাছ চুরি হয়। কে বা কারা গাছ গুলো কেটে নিয়েছে তা জানেননা তবে ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ৩ টুকরা কাঠ রেঞ্জ অফিসে জমা করেন স্বয়ং বিট কর্মকর্তা ও সহকারী মোং ইউনুস। অপরাপর টুকরা গুলোর জন্য সোর্স লাগিয়ে দেয়। গত রাতে সোর্সের মারফত খবর পেয়ে ডুলাহাজারা বনবিটের বিট কর্মূকর্তর নেতৃত্বে কয়েক টুকরা কাঠ পার্শ্ববর্তি ইউনিয়নের গুলিস্থান বাজারে বিক্রী করেছেন। সুত্র মতে আজ দুপুরে গুলিস্থান বাজারে অভিযান চালিয়ে শাহজাহান, মহিউদ্দিন, আলি আজম ও জসিমের মালিকানাধীন স, মিল (করাতকল) থেকে ২ টুকরা আনুমানিক ১৬ফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার করে রেঞ্জকর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ও অফিসে অনুপস্থিত থাকায় রেঞ্জার আব্দুল মতিন ও সংশ্লিষ্ট ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা রাজিব উদ্দিন ইব্রাহীমের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারী মোহং ইউনুচ বলেন, “রেঞ্জ অফিস বাউন্ডারীর ভিতরে কোন সাংবাদিক ঢুকা, ছবি তোলার জন্য নিষেধ করে দিয়েছেন রেঞ্জার স্যার”। তিনি আরো বলেন, “স্যার এও বলেছেন কোন সাংবাদিক বাড়াবাড়ি করলে তাকে মামলায় ঢুকিয়ে দেবেন। এই বলে তিনি এ প্রতিবেদক সহ ৪ সাংবাদিককে স্থান ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।
পাঠকের মতামত: