ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে ঝলসে গেছে নির্মাণ শ্রমিক

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘুর্ণিঝড় হামুনে ভেঙে যাওয়া দোকানঘরের চালা মেরামতকালে পল্লী বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে ফোরকান উদ্দিন (৩৮) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের শরীর ঝলসে গেছে। গতকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের লালব্রীজ এলাকায় খায়রুল মাস্টারের দোকানে ঘটেছে এ ঘটনা।

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ফোরকান উদ্দিনকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তাঁর শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত ফোরকান উদ্দিন পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড লালব্রীজ স্টেশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, ঘুর্ণিঝড় হামুন তাণ্ডবে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের ইলিশিয়া লালব্রীজ এলাকার মাস্টার খায়রুল ইসলামের মার্কেটের বেশকিছু দোকানঘরের চালা উড়ে যায়। গতকাল রোববার সকালে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানঘর মেরামতের জন্য চালার উপরে উঠে কাজ করছিলেন। ওইসময় অতর্কিত অবস্থায় দোকানের উপর দিয়ে প্রবাহিত পল্লী বিদ্যুৎ এর একটি সঞ্চালন লাইনে (তারে) স্পষ্ট হন নির্মাণ শ্রমিক ফোরকান।

এতে বুকের অংশে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন নির্মাণ শ্রমিক ফোরকান উদ্দিন। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

পরিবার সদস্যরা জানান, বর্তমানে আহত ফোরকান চমেক হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুকের অংশে ঝলসে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটা সংকটাপন্ন। দোকান মালিক মাস্টার খায়রুল গতকাল সকালে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত রোগীর পাশে থাকলেও চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি আর সেখানে যাননি।

দোকানঘর মালিক মাস্টার খায়রুল ইসলাম দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্ত আমার দোকানঘর ঘুর্ণিঝড়ের পরদিন মেরামত করেছি। গতকাল দোকানের পেছনে গাছে জড়িয়ে রাখা বিদ্যুৎ তারে অসাবধান বশত: জড়িয়ে ঝলসে গেছে ওই নির্মাণ শ্রমিকের। আমি মানবিক কারণে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দায়ী। কেন তাঁরা সমস্যা চিহ্নিত না করে বিদ্যুৎ লাইন চালু করেছে।

এব্যাপারে জানতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চকরিয়া অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাদিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি রিসিভ করেনি। তাঁর মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জানতে চাইলেও তিনি বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য দেননি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন , দোকানঘর মেরামতকালে বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের শরীর ঝলসে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনা নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

পাঠকের মতামত: