নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরশহরের স্টেশনপাড়া গ্রামে একটি পরিবারের দোকান ও বসতঘর দখলে নিতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওইসময় তাঁরা বসতঘরের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুরও করেছে। ঘটনার সময় হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে বেদড়ক পিটুনিতে আহত হয়েছেন দুইনারী। তাদেরকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়াস্থ মৃত আবদু ছালামের ছেলে রেজাউল করিমের বাড়ি এবং দোকানে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
এদিকে বসতঘর ও দোকানে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গৃহকর্তা রেজাউল করিম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ্যপুর্বক আরও ৭/৮জন অজ্ঞাতনামা হামলাকারীর বিরুদ্ধে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহারে আসামি করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, ফোরকান ও ওমর ফারককে। চকরিয়া থানার ওসি বাদি এজাহারটি আমলে নিয়ে থানার এসআই মেহেদী হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
চকরিয়া থানার এজাহারে বাদি রেজাউল করিম জানান, চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়ার চলাচলের রাস্তার পাশে তাঁর দোকান ও বসতঘর। তিনি শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত আসামিরা দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে তাঁর দোকান ও বসতঘরের জায়গা দখলের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার ২৪ মে সকালে অভিযুক্ত আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে অতর্কিত দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসতঘর এবং দোকান দখলে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুরও করে। এতে তাঁর প্রায় দশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। হামলা ও ভাংচুরের তাণ্ডবকালে রেজাউল করিমের স্ত্রী রুবি আক্তার ও শ্যালিকা রোহানা আক্তার বাঁধা দিতে গেলে এসময় হামলাকারীরা দুইজনকে বেড়দক পিটিয়ে জখম করে। এতে দুইজনের সর্বশরীরে ফুলাজখম হয়েছে।
গৃহকর্তা রেজাউল করিম জানান, হামলার সময় তার স্ত্রী রুবি আক্তার ও শ্যালিকা রোহানা আক্তারের শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: