নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবেলা ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিপ ও আনন্দের উদ্যোগে ও ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফে-ডবিøউএইচএইচ’র অর্থায়নে চকরিয়ায় অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা ও কার্যক্রমের উপর মতামত গ্রহণ করা হয়।
সিপ’র উপ-নির্বাহী পরিচালক তহমিনা জেসমিন মিতার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান, বিশেষ অতিথি ছিলেন-আনন্দ’র নির্বাহী পরিচালক মো.মনিরুজ্জামান মিয়া, ডব্লিউএইচএইচ’র এরিয়া ম্যারেজার অকটাভিয়ান সৈকত সরকার, ডবিøউএইচএইচ’র লিয়াজু সমন্বয়কারী মো. ইয়াকুব হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদুল হক ছুট্টো, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. আরিফ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাছিম হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী, সিপিপি’র সহকারি পরিচালক মো. মাহতাবুল বারিসহ উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিনসহ সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি।
প্রকল্পের মিল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও ট্রেনিং অফিসার ক্ল্যাসিটা ক্লারা রোজারিও’র সঞ্চালনায় প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক এম এ কুদ্দুস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান কাকারা ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের জনগণের দূর্ভোগের দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, সিপ ও আনন্দের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দূর্ভোগে থাকা দুটি ইউনিয়নের জনগোষ্ঠীকে দূর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াবে।
তিনি বলেন, জাইকা’র সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলায় দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রকল্প শুরু করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সিপ’র উপ-নির্বাহী পরিচালক তহমিনা জেসমিন মিতা বলেন, সিপ ১৯৮৬ সাল থেকে ও আনন্দ ১৯৯৭ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। সিপের কার্যকমের মধ্যে শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম, দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক কার্যক্রম, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য জীবিকায়ন কার্যক্রমগুলো অন্যতম।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সীতাকুন্ড উপজেলার দুটি ও কক্সবাজারের চকরিয়া দুটিসহ ৪ টি ইউনিয়নের ৬ হাজার পরিবারের দূর্যোগ সহনশীল জীবিকায়নের মাধ্যমে দারিদ্রতা হ্রাস করতে সক্ষম হবো। তাতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে এক লক্ষ বত্রিশ হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
সমাপনী বক্তব্যে আনন্দ’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
পাঠকের মতামত: