এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ঘুর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে রোপন আমন ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিকিকিনি হ্রাস পেয়েছে বিপনী কেন্দ্রেশ্রমজীবিরা বেকার হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে ঘরে ঘরে। তবে আবহাওয়া অফিস শুনিয়েছে আশারবাণী। আর দুইদিন থাকবে বৃষ্টিপাত।
জানাগেছে,সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ থেকে ঘুর্ণিঝড় তিতলি সৃষ্টি হয়ে আঘাত হানার শংকায় ছিল কক্সবাজারবাসী। সেই তিতলি ভারতের দুটি রাজ্যে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে শংকামুক্ত হয় কক্সবাজারের লোকজন। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা তিনদিন বৃষ্টি হওয়ায় থোর আসা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে বেগুন, মরিচ, চিচিঙ্গা,ঝিঙ্গেসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। লবণ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় প্রস্তুত করা অনেক মাঠের লবণ উৎপাদন ও পিছিয়ে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আতিক উল্লাহ বলেন,কয়েকটি এলাকার পানি নিস্কাশন না হওয়ায় নিচু বা ডোবা জমির সামান্য ধান ক্ষতি হতে পারে। তবে বৃষ্টি থামলে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবেনা। তা সত্বেও চকরিয়ায় আশাতীত আমন চাষ হয়েছে। উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন হবে।
তিনি আরো বরেন,বিভিন্ন ঘরভিটায় লাগানো সবজি নষ্ট হচ্ছে নালা নর্দমা না থাকার ফলে পানি জমে। কিছুকিছু জমিতে পক্ষকালের মধ্যে রোপন করা সবজির ক্ষতি হতে পারে। তবে তা অত্যধিক ক্ষতি হবেনা।#
পাঠকের মতামত: